যৌতুকের জন্য নির্যাতনকারী স্বামীর শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে নুর হাওয়া বেগম জুলি নামের নির্যাতনের শিকার এক নারী।
শনিবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যার্যিতা নারী জুলি বেগমের আব্দুল আজিজ নামে এক ভাই । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন,নির্যাযিত নারীর বড় ভাই মোঃ নুরনবী ও তার স্ত্রী হোসনে আরা নবী, গুইমারা ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি’র মহিলা সদস্য ফাতেমা বেগম।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয় মাটিরাঙ্গা উপজেলা গোমতি ইউনিয়নের বান্দরছড়া গ্রামের বাসিন্দা হুদা মিয়ার বড় ছেলে আবু তাহের রাজুর সাথে গুইমারার মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা মৃত হাকিম আলী কন্যার সাথে ২০০৫ সালে ৬ মে ইসলামী শরীয়া মোতাবেক দেড় লক্ষ টাকা দেন মোহরে বিবাহ সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর পল্লী বিদ্যুতে চাকরি নেওয়ার অজু হাতে জুলি বেগম থেকে চার লক্ষ টাকা নেয় আবু তাহের রাজু। এর পর ও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবী করে রাজু। টাকা না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করার হুমকি ও দেয়। সর্বশেষ কিছু দিন আগে প্রথম বৌর অনমুতি ছাড়া বান্দরছড়া এলাকা মহিদুল ইসলামের নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে করে রাজু।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয় এ বিষয় নিয়ে গোমতি ইউপি চেয়ারম্যান সালিশ করে তাদের পুলিশে দিলে ও কৌশলে সে থানা থেকে বেড়িয়ে যায়। এ বিষয় ন্যায় বিচারের আশায় খাগড়াছড়ি আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে জুলি বেগম। এতে রাজুর দ্বিতীয় স্ত্রীর চাচা জর্জ কোটের ড্রাইভার আনিস মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে বলে ও লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয়। তাই সর্বশেষ কোন উপায় না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংবাদিকদের লিখনির মাধ্যমে তার স্বামীর শাস্তি দাবী ও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশা করছেন জুলি বেগম।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.