লামায় পারুল বেগম(২৬) নামের এক গৃহবধূকে মারধরের পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ৯টার সময় লামা সদর ইউনিয়নের চিউনি মুখ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লামা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারুল বেগম জানান, বিয়ের ৫ থেকে ৬ মাস পর থেকে তার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন তাকে সহ্য করতে পারছিল না। বিভিন্ন সময় তার সাথে ঝগড়া বাধিয়ে রাখতো। সাংসারিক কলহের জের ধরে তাকে শনিবার সকাল ৯টায় সময় তার আপন শাশুড়ী ছায়েরা খাতুন(৬৫) ও সৎ শাশুড়ী মাবিয়া(৫০) এবং ননদ নুর নাহার(৩৫) ও নদের স্বামী মোঃ মুক্তার৪৫) মিলে মারধর করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করে ঘরের ভেতর চালের বিমের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এ অবস্থার কিছুক্ষন পর তার স্বামী এসে তাকে উদ্ধার করে।
পারুল বেগমের স্বামী মোঃ ফারুক জানান, সকাল ৯টার পূর্বে তার সৎ মা`র সাথে তার স্ত্রীর সাথে কথা কটাকাটি হয়। কথা কটাকটি বন্ধ করতে বলে তিনি ঘর থেকে একটু দূরে একটি দোকানে নাস্তা খেতে যান। নাস্তা খেয়ে ঘরে এসে দেখতে পান ঘরের দরজা সিকল দিয়ে বাঁধা। তখন তিনি পারুলকে ডাকতে থাকেন। কেউ কথা বলছে না দেখে দরজার সিকল খুলে ঘরে ঢুকেন। ঘরে ঢুকার অবস্থায় দেখেন পারুল চালে বিমে ঝুলে রয়েছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে পারুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তিনি আরো জানান,তার বউকে পরিবারের কেউ সহ্য করতে পারছিল না বিধায় পরিবার থেকে আলাদা হয়ে বাড়ীর পাশে ঘর তৈরী করেন এবং এক কানি জমিতে চাষ করে সংসার চালান।তবে এ ব্যাপারে অভিযোক্তদের সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি।
লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পারুল বেগম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। আসলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.