রাঙামাটিতে গ্রীনহীলের সীর্ক প্রকল্পের উপকারভোগীদের নিয়ে সেবা বিষয়ক কর্মশালা

Published: 03 Oct 2017   Tuesday   

প্রকল্পের উপকারভোগীদের কাছে উন্নয়নে সেবা সহজলভ্য ও সেবা প্রদানকারীদের সমন্বয়ে পরামর্শক দিন ব্যাপী কর্মশালা মঙ্গলবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।


হেলভেটাস সুইস ইন্টার-কোঅপারেশন বাংলাদেশ-এর আর্থিক ও কারিগরী সহযোগীতায় এবং গ্রীনহিলের বাস্তবায়নে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন“প্রকল্পের আওতায় গ্রীনহীলের সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী। বক্তব্যে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভারপ্রাপ্ত রাঙামাটি সদর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএমমনজুরুল হক, কৃষিসম্প্র্রসারণ অধিদপ্তর রাঙামাটির ভারাপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক দেবাশীষ চাকমা। গ্রীনহীরের চেয়ার পার্সন টুকু তালুকদারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন গ্রীনহীলের নির্বাহী পরিচালক মংথোয়াই সিং মারমা।

 

বিটু দত্তের সঞ্চালনায় প্রকল্প ও সভা সম্পর্কে আলোচনা করেন গ্রীন হিলের উপ নির্বাহী পরিচালক যতন কুমার দেওয়ান ও সীর্ক প্রকল্প ম্যানেজার অমূল্যধন চাকমা। কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি, মিডিয়া প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, ঐতিহ্যবাহী নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং কৃষক দলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।


সভায় বক্তারা কৃষকদের উৎপাদশীলতা বাড়াতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার, সরকারী ও স্থানীয় সেবাদানকারীদের মাধ্যমে সঠিক সময়ে উন্নত বীজ সরবরাহ, চাহিদা ভিত্তিক যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এবং পাশাপাশি নিরাপদ পানি ও পয়:নিষ্কাশনের সহযোগীতা প্রদানের বিষয়ে গুরুত্ব দেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে লন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কাঠ,বাঁশসহ বিভিন্ন অর্থকরী ফসলাদি রয়েছে। কিন্তু আমরা তা ব্যবহার করতে পারছি না। এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাস ঘাটতি রয়েছে। এখানে টেনশন কাজ করে থাকে। তার থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। এখানকার উন্নয়নে সবাইকে একমত হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আর এখানে অধিকার ক্ষুন্ন হলে তাহলে উন্নয়ন হওয়ার আগে নানান শর্ত জড়িয়ে দিতে হবে।


তিনি আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় উৎপাদিত ফসলাদি রাখার জন্য কোন হিমাগার নেই।ফলে প্রান্তি চাষীদের উৎপাদিত পণ্য পচে যাচ্ছে। এ জন্য বাজার ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।

 

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, রাঙামাটি জেলায় দুটি উপজেলায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কৃষকদের উৎপাদশীলতা বাড়াতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার ও স্যানিটেশন বিষয়ে পরামর্শ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারী পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সেবাদান প্রতিষ্ঠান থাকলেও তারা তা করতে পারছে না কেন। তিনি সরকারী সেবাদান প্রতিষ্ঠানগুলো তৃণমূল পর্যায়ে কৃষকদের সেবাদানের আরো বেশী মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হেলভেটাস সুইস ইন্টার-কোঅপারেশন বাংলাদেশ-এর আর্থিক ও কারিগরী সহযোগীতায় এবং গ্রীনহিলের বাস্তবায়নে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন“প্রকল্পের আওতায় গ্রীনহীল বাস্তবায়ন করছে। এলাকাগুলো হল রাঙামাটি সদর ও নানিয়ারচর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন। এসব ইউনিয়নের এ প্রকল্পের ২৬ হাজার মানুষ উপকারভোগী রয়েছে।
--হিলবিডি২৪সম্পাদনাসিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত