রাঙামাটিতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ তেল ও আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে কর্মশালা

Published: 23 Oct 2017   Monday   

ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ তেল ও আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারের ওপর সচেতনামুলক দিন ব্যাপী কর্মশালা সোমবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সন্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান।

 

কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি কাজী নজরুল ইসলামের সভপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের রাঙামাটির উপ-পরিচালক শাহেন নেওয়াজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিনোদ শেখর চাকমা। বক্তব্যে রাখেন সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জুলীকা খীসা, প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, শিক্ষক মো: হাসান অন্যান্যরা। 

 

কর্মশালায় ভোক্তা অধিকার ও কর্তব্য শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন ক্যাবের জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মোস্তফা কামাল ও  আয়োডিনযুক্ত লবন ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ তেলের ব্যবহার শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন গেইন-এর প্রোগ্রাম এ্যাসোসিয়টের  সৈয়দ মুনতাসির রিদওয়ান।

 

দিন ব্যাপী কর্মশালায় জেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান,সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের লোকজন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন।

 

অনুষ্ঠানে বক্তারা ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ও আয়োডিনযুক্ত লবন ব্যবহার  এবং ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কিত আইনগুলোর বিষয়ে মানুষের জনসচেতনা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান  ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ ভোজ্য তেল ও আয়োডিনযুক্ত লবন ব্যবহারে প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষদেরকে জনসচেতনা সৃষ্টি করতে হবে। একই সাথে পুষ্টির গুনগতমানের বিষয়ে তুলে ধরতে হবে।

 

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রনালয়ে এক হাজার কোটি টাকার বাজেট ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু আজও পর্ষন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। পাহাড় থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ফলমুল সমতলে যায়। এখানে এসব দিয়ে ফুড প্রোসেসিং ইন্ডাষ্ট্রি বা স্মল ইন্ডাষ্ট্রি হতে পারতো। এছাড়া এখানে শ্রমিকের সংখ্যা প্রচুর রয়েছে।

 

পাহাড়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান হলে লাভজনক হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাহাড়ে উৎপাদিত ফলমুল অনেক সস্তা। কারণ ঢাকায় একটা আনারস কিনতে গেলে ১শ টাকায় কিনতে হয়। জামুরাও ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে হয়। কাজেই মানুষের আর্থিক অবস্থা ভাল হলে অন্যান্য বিষয়ে ভাল হবে।

 

তিনি বলেন, এ অঞ্চলে এনজিও-দের উর্বর ক্ষেত্রে। কারণ এখানকার মানুষ সহজ-সরল। উন্নয়ন চলে অর্ধিকাংশ এনজিও-দের দিয়ে। এসব এনজিওগুলো কি কি কাজ করে তার সঠিক কাজের পরিধি থাকা উচিত। তবে এখানকার অধিকাংশ এনজিওগুলোর মাইক্রো ক্রেডিট প্রোগ্রাম রয়েছে।

 --হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত