বঙ্গবন্ধুর ৭মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি লাভে রাঙামাটিতে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা

Published: 25 Nov 2017   Saturday   

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করায় শনিবার রাঙামাটিতে আনন্দ শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা  অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আায়োজিত জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। অন্যান্যর মধ্যে  বক্তব্যে দেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল রেদোয়ানুল হক পিএসসি, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল, পুলিশ সুপার সাঈদ তাকিুল হাসান, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, সিভিল সার্জন ডাঃ শহিদ তালুকদারসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

 

এর আগে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা শহরের ভেদভেদীর বঙ্গবন্ধুর মুরাল চত্বর থেকে শুরু হয়ে জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়,স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা অংশ নেন। 

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সনের ৭মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। সেদিন তার ভাষণ শোনার জন্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মুক্তিকামী জনতা উপস্থিত হয়েছিল। জাতির জনকের ভাষণের “ এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে ঝাপিয়েপড়, রক্ত যখন দিয়েছে রক্ত আরো দেব” এসব বক্তব্যে সেদিন উপস্থিত জনতাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উজ্জীবিত করেছিল। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭মার্চের ভাষণের পর এদেশের মুক্তিকামী মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। 

 

দীপংকর তালুকদার আরো বলেন, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। এখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা সমস্ত কিছুর নির্দেশ ছিলো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে। আজকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেওয়ার পরও স্বাধীনতার ঘোষণাকে নিয়ে কেউ যদি বিকৃতি করে তাহলে আমরা বলবো, তারা শুধরাবে না, নিলর্জ্জই থেকে যাবে। 

 

তিনি আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের সময়  এরা বলেছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে ফেণী পর্যন্ত ভারত হয়ে যাবে, কই ভারত হয়ে গেছে? এরা সবকিছুতে বিরোধীতা করে। দেশে যত অর্জন হয়েছে সব আওয়ামীলীগ সরকারের আমলেই হয়েছে।

 

আলোচনা সভায় ফিরোজা বেগম চিনু এমপি বলেন, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বের দরবারে আজ স্বীকৃত। এই ভাষণ দিয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছে। তিনি  আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের এই ভাষণের প্রতিটি লাইন প্রতিটি অক্ষরে স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল। ৭ মার্চের এই ভাষণের প্রতিটি লাইন অর্থবহ, যা ইতিহাস হিসেবে থাকবে।

 

এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের বিশ্ব স্বীকৃতি উদযাপন উপলক্ষে  জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা পৌর চত্বর  থেকে শুরু হয়ে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করা হয়। সমাবেশে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, সাধারন সম্পাদক মূছা মাতব্বরসহ  অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে দেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত