বন উজাড়ের কারণে পাহাড় ধ্বসের মত ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের দুর্যোগে পাহাড়ের মানুষ আরো সংকটে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।
তিনি বলেন, পাহাড়ে নতুন করে কোন বনায়ন হচ্ছে না। তাই পার্বত্য এলাকায় নতুন করে বনায়ন সৃষ্টিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার রাঙামাটিতে আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়রম্যান এ আশংকা ব্যক্ত করেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পরিষদ সন্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা। মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, পরিষদ সদস্য ত্রিদিব কান্তি দাশ, সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী আবদুস সামাদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা, সাংবাদিক সোলাইমান, রাঙামাটি রিপোটার্স ইউনিটের সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমাসহ অন্যান্য অতিথিরা।
আলোচনা সভায় পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, পরিষদ সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, পরিষদ সদস্য সবির কুমার চাকমা, পরিষদ সদস্য মোঃ জানে আলম, পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা’সহ সরকারী বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে এখন কেউ আইন মানছে না। এখানে সরকারী নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে কাপ্তাই হ্রদের পাড়ে গড়ে তুলছে অবৈধ স্থাপনা। পাশাপাশি বর্জ্য ও মল ফেলে হ্রদ দূষণ করা হচ্ছে। তিনি এসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ক্ষতি না করে এ সম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষির প্রসার ঘটিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটনো সম্ভব।
তিনি গেল ১৩জুন রাঙামাটিতে ঘটে যাওয়া স্মরণকালের প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে পাহাড় কেটে বাড়ীঘর নির্মাণ বন্ধ ও নতুন করে বনায়নে মানুষকে সচেতন করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.