মঙ্গলবার সকাল থেকে বিলাইছড়িতে কোন যানবাহনের আসা-যাওয়া লক্ষ্য করা যায়নি। যাত্রীহীনতায় প্রতিদিনের মত যাত্রীবাহী কোন লঞ্চ রাঙামাটি এবং কাপ্তাই উদ্দেশ্যে বিলাইছড়ি ঘাট ছেড়ে যায়নি। এবং কাপ্তাই ও রাঙামাটি থেকেও কোন যাত্রীবাহী লঞ্চ আসেনি।
মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাটের দিন এবং ব্যবসায়ীও লেবারদের আয়-রোজগার করার প্রধান দিন হলেও বাজার একদম ফাঁকা ছিল। বেলা বাড়লে ও দূরের কোন লোকজনের সমাগম পরিলক্ষিত হয়নি। শুধু সদরের স্থানীয় লোকজনদের কিছুটা সমাগম দেখা যায়। বাজারের স্থানীয় পাইকারী বিক্রেতা ও দোকান ব্যবসায়ীরা ক্রেতার আশায় দোকান মেলে বসলেও ক্রেতা না থাকায়, তাদেরকে একে অন্যের সাথে গল্প- গুজব করতে দেখা গেছে।
সরকারি এবং আধা-সরকারি অফিস খোলা থাকলেও সদরের লোকজন ছাড়া দূরের লোকজনের আনা-গোনা কম দেখা গেছে। ভাড়াতে কোন মোটর সাইকেল ও চলাচল করতে দেখা যায়নি।
তাই সব মিলিয়ে বলা যায়, বিলাইছড়িতে অঘোষিত ‘অবরোধ’ পালিত হয়েছে। বাজারে এবং লঞ্চ ঘাটে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারীর টহলরত অবস্থায় দেখা গেছে।
বিলাইছড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক এস,এম মোসাদ্দেকুল মোওলা বলেন, “কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে থানায় হরতাল বা অবরোধ দেওয়া হয়নি।
বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসিফ ইকবাল বলেন,“হরতাল বা অবরোধ বিষয়ে প্রশাসনে কোন লিখিত বা অলিখিত অবগত নই।”
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.