রাঙামাটিতে বিজয় দিবস উদযাপন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মননা প্রদান

Published: 17 Dec 2017   Sunday   

অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষনে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।  


রোববার রাঙামাটিতে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ আয়োজিত মহান বিজয় দিবস উদযাপন ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এ আহ্বান জানান।


পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান কার্যালয়ের মাইনী সম্মেলন কক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারবর্গের সদস্যদের এ সম্মননা দেওয়া হয়।


বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ এর আহ্বায়ক সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, রাঙ্গামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোঃ কামাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা রনজিৎ কুমার বড়ুয়া বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ এর সদস্য সচিব প্রবীন সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে।


অনুষ্ঠানে বক্তাদের আলোচনার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় পরিবেশিত হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। পরে রাঙামাটি বিভিন্ন উপজেলার ৭০জন বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অতিথিরা।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য্য ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের অর্জিত স্বাধীনতাকে যেকোন মুল্যে সমুন্নত রাখতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ যাতে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃক্তি করতে না পারে সেজন্যই সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষনে উদযোগের প্রসাংশা করে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সঠিকভাবে সংরক্ষন করা গেলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।


সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধে পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল মানুষের যে গৌরবউজ্জ্বল ভুমিকা রয়েছে তা তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ কাজ করছে। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটির যারা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন তাদের ব্যবহৃত সামগ্রী যা পাওয়া যায় তা সংগ্রহ করে স্মৃতি সংরক্ষ করা হবে। তিনি বলেন, রাঙামাটির মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষনের জন্য একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ ও বৈধ্যভুমি নির্নয়ের প্রচেষ্ঠা চলছে। তা করা গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের অবদান সম্পর্কে মানুষ জানতে পারবে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সংরক্ষণ করে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি সংরক্ষন পরিষদ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে বলে উল্লেখ করেন।


অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ধরে রাখা আমাদের দায়িত্ব। নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে এবং দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ হতে পারেআমাদের সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।


বক্তরা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার একুশ বছর পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে। এ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর কেউ যাতে মুছে ফেলতে না পারে সে লক্ষ্যে দেশের আপামর জনসাধারণকে সচেষ্ট থাকতে হবে।


বক্তারা বলেন, আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত