খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ-এর ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

Published: 26 Dec 2017   Tuesday   

মঙ্গলবার খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

 

ইউপিডিএফ। প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, স্বনির্ভর জুম্ম ঠিকাদার কল্যান সমিতি কার্যালয় সংলগ্ন মাঠে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর উদ্বোধন করেন ইউপিডিএফ-এর কেন্দ্রীয় সদস্য ও খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক সচিব চাকমা।

 

শিশু-কিশোর কেন্দ্রের সদস্যসহ গণসংগঠনের নেতা-কর্মীরা ইউপিডিএফ অফিসে উই শ্যাল ওভার কাম গানটি সুরে সুরে গেয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। পরে শত শত শিশু-কিশোর ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অংশগ্রহণে পার্টির ১৯টি বছরের সংগ্রামময় বর্ণিল প্রতিরোধ সংগ্রামকে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যন্ড বাদকদল ১৯বার বান্ডের আওয়াজ বাজাতে বাজাতে বেলুন উড়িয়ে দেয়া হয়। বেলুনে টানানো ফেস্টুনে লেখা ছিলো ”গ্লোরি টু দ্য ইউপিডিএফ”। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে খাগড়াছড়ি সদরের নারাঙহিয়া-স্বনির্ভর বাজার এলাকা রঙবেরঙের পতাকায় সাজানো হয়।

 

এরপর সংগঠনের ১৯টি বছরে জনগণের জন্য রক্ত দিয়ে লড়াই সংগ্রামে সাহসিকতার সাথে ভুমিকা রেখে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তবক প্রদান করা হয়। পুষ্পস্তবক প্রদানের সময় পার্টির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সচিব চাকমা, নতুন কুমার চাকমা, দেবদন্ত ত্রিপুরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুবফোরামের সভাপতি অংগ্য মারমা, সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিনয়ন চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপা চাকমা, খাগড়াছড়ি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রনিক ত্রিপুরা প্রমুখ। পরে শিশুকিশোর ও সাধারণ জনগণ শহীদ বেদীতে তাদের শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন। শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করার পরে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করা হয়।


অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমা। মারমা ভাষায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে তাকে সহায়তা করেন রেশমি মারমা। ত্রিপুরা ভাষায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করতে সহায়তা করেন অমল ত্রিপুরা।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য সচিব চাকমা, বিগত ১৯টি বছর ইউপিডিএফকে নানা নির্যাতন নিপীড়ন হামলা মামলা সহ্য করে আসতে হয়েছে। সরকার ও শাসকশ্রেনী পার্বত্য চট্টগ্রামের গণমানুষের আশা আকাক্সক্ষার প্রতীক ইউপিডিএফকে দমন করার সকল ধরণের কৌশল প্রয়োগ করেছে; কিন্তু ইউপিডিএফকে কোনোভাবেই থামানো যায়নি। ইউপিডিএফ তার সকল সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জনগণের সাথে থেকে সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত রুখে দিতে রাজপথে থেকেছে।

 

ইউপিডিএফ-এর উত্থানকে রুখতে সরকার সেনা-শাসকচক্র সংগঠনের দলছুট কতিপয় ব্যক্তিকে দিয়ে ‘নব্য মুখোশবাহিনী’ গঠন করে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে। মূলত, পার্বত্য জনগণের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের আন্দোলন ও প্রতিরোধকে নিঃশেষ করে দিতেই এই চক্রান্ত চালানো হয়েছে। আগামীতে সরকার শাসকশ্রেণীর এই চক্রান্তও রুখে দেয়া হবে বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত