আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক(ইউপিডিএফ) এর দুদিন ব্যাপী খাগড়াছড়িতে দুদিন ব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ পালিত হয়েছে।
ইউপিডিএফ নেতা মিঠুন চাকমাকে হত্যা, তাঁর মরদেহ দলীয় অফিসে এনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধাদানের প্রতিবাদে এবং হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শনিবার ও রোববার খাগড়াছড়ি জেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি ডাক দেয়।
ইউপিডিএফ।প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, খাগড়াছড়িতে দুই দিনের অবরোধে জেলা সদর ও উপজেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। দূর পাল্লার কোন যানবাহনও চলাচল করেনি। অবরোধের শুরু থেকে শহরজুড়ে সেনা-পুলিশ-বিজিবি’র নজিরবিহীন টহল ছিল।প্রথম দিন পুলিশ খাগড়াছড়ি সদরের চেঙ্গী ব্রীজ এলাকায় পিকেটারদের উপর হামলা ও বাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে ৩-৪ জন পিকেটার আহত হয়। একই দিন খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার গাছবান এলাকায় সেনাবাহিনী ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পিকেটারদের ধাওয়া করে। এরপর অবরোধ আরো একদিন বাড়িয়ে রোববার দিনব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়। দ্বিতীয় দিনের অবরোধে এক নিরীহ পথচারীকে আটক ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ছাড়া বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রেস বার্তায় অবরোধ কর্মসূচি সফল করায় সকল যানবাহন মালিক সমিতি, চালক, শ্রমিক সংগঠন ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়,মিঠুন চাকমার দাহক্রিয়া ও শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন কর্মসূচিতে অংশ নিতে আসা হাজার হাজার জনতাকে বাধা দেয়ার মাধ্যমেই তাঁকে হত্যার সাথে জড়িতদের স্পষ্ট হয়েছে।
প্রেস বার্তায় অবিলম্বে মিঠুন চাকমার হত্যাকারীদের গ্রেফতারপুর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। মিঠুন চাকমা হত্যার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১টায় খাগড়াছড়ির স্বনির্ভরস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে বলে প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.