রাজস্থলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে অচল

Published: 07 Jan 2018   Sunday   

রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র সরকারী হাসপাতালের এম্বুলেন্সটি দীর্ঘদিন ধরে অচল অবস্থা পড়ে রয়েছে। একটি অতিরিক্ত চাকার প্রয়োজনীয়তা কারণে চালাতে সাহস পাচ্ছে না চালক।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ছয়মাস ধরে  রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেরেজের অলস অবস্থা পড়ে  রয়েছে এম্বুলেন্সটি। আর ড্রাইভার বেতন-ভাতা সরকারী সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে অলস সময় পার করে দিচ্ছেন কখনও চা দোকানে কিংবা নিজের ব্যস্ততা নিয়ে। আর জটিল রোগাক্রান্ত ব্যক্তি ও দুঘর্টনা হলে এই হাসপাতালে রোগী এবং অভিভাবকরা পড়েন  মহাবিপাকে। এ উপজেলাটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের কারণে দ্রুত যোগাযোগের জন্য যান্ত্রিক ব্যবস্থা অপ্রতুলতার সাথে রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়াও। এসব সমস্যা শুধু একটি চাকার জন্য। একটি চাকার সমাধানের অপেক্ষায় গেল ছয় মাসে অনেক জীবন চাকা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়ে গেল।

 

জানা গেছে, মাস কয়েক আগে বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন দাশের শ্বাশুড়ী লক্ষীরানী দাশ গাড়ীর অপেক্ষা হাসপাতলে গেইটে মৃত্যু হয়। সরেজমিনে গিয়ে মৃত ব্যক্তি আত্নীয়-স্বজনদের আলাপকালে জানান, এই উপজেলা কি নেই? আছে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদ। চলছে নিয়মিত সরকারী-বেসরকারী আলোচনা সভা, রাজনৈতিক সভা-সেমিনার। হচ্ছে নিয়মিত বিভিন্ন ব্যবসা-বানিজ্য। তবুও একটি চাকা প্রয়োজনীয়তা জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। দেশের মাটির জন্য যুদ্ধ করেছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন দাশ। সেই দেশেই খোলা আকাশে নীচে হাসপাতালে গেটে তার শ্বাশুড়ী জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে হয়েছে।

 

এম্বুলেন্স চালক চাইঅং মারমা জানান, একটি চাকা সম্পূন্ন অচল এবং অন্য দুটি চাকায় টিউবে কাছাকাছি বাবার খসে গেছে। চালাতে গেলে যে কোন জরুরী আক্রান্ত রোগীকে নিয়ে রাস্তায় বিপদ পড়তে পারে।  তাই গাড়ীটি বাহিরে নিয়ে যেতে সাহস পাচ্ছেন না।

 

এদিকে স্বাস্থ্য ওপরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহ্লাঅং মারমা জানান,  একটি এম্বুলেন্সের চাকা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, উপজেলা পরিষদ, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদসহ সম্পৃক্ত বিভাগের কাছে লিখিত ও মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। সরকারের মৌলিক অধিকারের একটি অংশ সুচিকিৎসা ব্যবস্থা প্রতি এ ধরণের বৈষম্য খুবই দুঃখজনক। অচিরে সমাধান পদক্ষেপ নিলে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসার অগ্রগতি আরো তরান্বিত করার সুযোগ পাবো।

 

উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এ চাকাটি সমাধানের মধ্যে আগামী এডিপি প্রকল্পে বাজেট দেওয়া হবে।

 

অন্যদিকে স্থানী সরকারয় প্রকৌশলী উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাথে আলাপকালে তিনি জানান, এডিপি প্রকল্প এখন চুড়ান্ত হয়নি। প্রকল্প বরাদ্দের জন্য আরো তিন মাস সময় লাগতে পারে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত