ইউএসএইড এবং ইউএনডিপি’র একটি যৌথ মিশন মঙ্গলবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতৃ চাকমা ছাড়াও পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ, সদস্য সবির কুমার চাকমা এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। ইউএসএইড এবং ইউএনডিপি’র একটি যৌথ মিশন দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএইড এর কর্মকর্তা থমাস পোপে, প্রকল্প কর্মকর্তা রুমানা আমিন, ইউএনডিপি-র কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদিপ্ত মুখার্জি, টেকনিক্যাল স্পেলালিষ্ট ড. রাম এ শর্মা, এসআইডি-সিএইচডি প্রকল্পের প্রজজেক্ট ম্যানেজার ঝওউ-ঈঐঞ প্রসেনজিৎ চাকমা এবং ইউএনডিপি-সিএইচডিএফ’র ডিষ্ট্রিক ম্যানেজার ঐশ্বর্য চাকমা।
সৌজন্য সাক্ষাতে ইউএসএইডের প্রতিনিধিদল রাঙামাটি জেলার সার্বিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে জানতে চান।
এসময় চেয়ারম্যান প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিগত সময়ে ইউএনডিপির মাধ্যমে প্রচুর কাজ হয়েছে যার ফল ভোগ করেছে প্রত্যন্ত এলাকার জনসাধারণ। বিশেষ করে ইউএনডিপির অর্থায়নে পরিচালিত কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে বিরাট উন্নয়ন হয়েছে। প্রত্যন্ত এলাকায় ইউএনডিপি প্রতিষ্ঠিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ হয়েছে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যুর হার শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে এবং কৃষিক্ষেত্রে স্থানীয় কৃষকদের দক্ষতা সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষিজ পণ্য উৎপাদনে বিরাট পরিবর্তন এসেছে।
তিনি এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনে যোগাযোগ ব্যবস্থান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবায় অধিকতর বিনিয়োগ এবং সনাতন পদ্ধতির কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তে মিশ্র ফলের বাগান উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে সফররত প্রতিনিধিদলের কাছে মত ব্যক্ত করেন। তিনি সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিদেশী দাতাদের সহযোগিতা এলাকার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.