মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে রাঙামাটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

Published: 26 Mar 2018   Monday   

মহান স্বাধীনতা  দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সোমবার রাঙামাটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে পরিষদ সভা কক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা ও সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার আলমগীর কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্ঠা কমিটির সদস্য শাহজাহান মোল্লা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাজী কামাল উদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য সান্তনা চাকমা, রাঙামাটি  জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার রবার্ট রোনাল্ড পিন্টু, মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইকবাল, মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ।  এ সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানন প্রধান ও জেলার মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।

 

অনুষ্ঠান শেষে জেলা পরিষদ হতে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ৬পরিবারের সদস্যদের মাঝে ২হাজার ৫শত টাকা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬০জন এবং ২৭জন মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মাঝে ১হাজার টাকার প্রাইজবন্ড বিতরন করেন অতিথিরা।

 

প্রধান অতিথিে বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করতে পাকিস্থানীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। এই মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের জন্যই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি একথা ভুললে চলবে না। কাজেই তাদের সম্মান আমাদের সকলকে দিতেই হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি অব্যাহত রেখেছেন বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষনে মুক্তিযোদ্ধারা ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। তাই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই মার্চ মাস বাঙ্গালি জাতির গৌরবের ও ঐতিহাসিক মাস।

 

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর বিএনপি জামাত দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিনত করতে উঠে পরে লেগেছিল। দূর্নীতি দেশ হিসেবে এ দেশকে বিশ্বে পরিচিত করেছিল তারা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করে প্রচার করেছিল। কিন্তু জনগন তাদের এই কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামীগকে নির্বাচনে জয়ী করে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তার পিতার স্বপ্ন পূরনে অঙ্গিকারবদ্ধ। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল এ দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত এবং উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিনত করা। তার সুযোগ্য কণ্যা তাই করে চলেছে। দেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়ে বিশ্বে পরিচিত হয়েছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা ভুলেনি ভুলবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের উন্নয়ন ও কল্যাণে তিনি ৯টি ক্যাটাগরিতে ভাতা প্রদান, সন্তান্তানদের চাকুরী কোটা’সহ বিভিন্নভাবে কল্যান করে যাচ্ছে যা অন্যকোন সরকার করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উন্নয়ন অব্যাহৃত রাখতে মুক্তিযোদ্ধা’সহ সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।

 

তিনি  সরকারী নীতি অনুসরন করে জেলা পরিষদ হতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোন বৈষম্য হবে না বলে আশা ব্যক্ত করেন।

 

অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন, দেশের সূর্য সন্তানদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। যে কোন সমস্যা নিয়ে আমার কাছে আসলে তা নিরসন করার চেষ্ঠা আমি করে যাবো। আমরা আজ কর্মকর্তা হওয়ার পেছনে তাদেরই অবদান। তিনি বলেন, উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স করার বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতী দেন। তিনি আরো বরেন, এ জেলার সকল সম্প্রদায়ের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে আমি সেভাবে কাজ করে যাবো।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত