নিয়মিত বর্জ্য ফেলায় ও দখল কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানি দূষিত হচ্ছে

Published: 27 Mar 2018   Tuesday   

বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে বর্নাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

আলোচনা সভায় বক্তারা রাঙামাটির জেলার পনির প্রধান উৎস্য কাপ্তাই হ্রদকে দূষনের হাত থেকে রক্ষাসহ হ্রদকে ভরাটের হাত থেকে রক্ষার আহবান জানিয়ে বলেছেন, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানি যেভাবে দূষিত হচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে এই হ্রদের পানি ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়বে। তখন রাঙামাটি বাসীর মারাত্নক পানীয় জলের সংকটে পড়বে।

 

রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা  প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্যে রাখেন রাঙামাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী  স্বপন কুমার বড়ুয়া, জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী ওয়াসিমুর রহমান, টিআইবি’র সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাঙামাটির জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন বিষয়ক উপ কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী।   

 

এর আগে একটি র‌্যালী বের করা হয়। রাঙামাটি পৌর সভা চত্বর থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।  র‌্যালীতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, সনাক, স্বজন, ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস  এবং বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন এসডিজি অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করার জন্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পার্বত্য এলাকায় সুপেয় পানির দুষ্প্রাপ্যতা রয়েছে এবং প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল হতে হয়। তিনি কাপ্তাই হ্রদকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড  এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া বলেন কাপ্তাই হ্রদ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ  হ্রদ, কিন্তু দখল ও দূষনের কারনে  হ্রদের পানি দূষিত হচ্ছে । তাছাড়া পার্বত্য এলাকার বনাঞ্চলে অবাধে বৃক্ষ নিধনের ফলে পাহাড়ের মাটি ক্ষয় হয়ে কাপ্তাই  হ্রদে পলি মাটির পরিমান বেড়ে লেক ভরাট হচ্ছে। এসব বর্জ্যে  হ্রদের পানিতে ফেলার কারণে হ্রদের পানি দূষিত হচ্ছে।

 

জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী ওয়াসিমুর রহমান বলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর রাঙামাটি বাজার প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২০ সালের মধ্যে সুপেয় পানি নিশ্চিতের জন্য কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে চলেছে।

 

সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) রাঙামাটির জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন বিষয়ক উপ কমিটির আহবায়ক মোহাম্মদ আলী বলেন জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সারা দেশে বাস্তবায়িত প্রকল্পের মধ্যে টিআইবি ৬টি প্রকল্পে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

তিনি আরো বলেন, প্রকল্প প্রণয়ন ও অনুমোদনে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলের তুলনায় রাজনৈতিক বিবেচনায় অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে প্রকল্প অনুমোদন ও বাস্তবায়ন, তথ্যের স্বপ্রণোদিত উন্মুক্ততা এবং চাহিদাভিত্তিক তথ্য প্রদান উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিভিন্ন অংশীজনদের যোগশাজসে অনিয়ম, সংশ্লিষ্ট আইন ও নির্দেশিকায় কার্যকর অভিযোগ ব্যবস্থার নির্দেশনার অনুপস্থিতি, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিষ্ক্রিয়তা এবং সমন্বয়ের ঘাটতি,  সার্বিকভাবে আইন ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও পানিসম্পদ খাতের প্রকল্পসমূহে জনঅংশগ্রহণের ঘাটতি থাকায় কার্যকর জলবায়ু অভিযোজন নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত