শনিবার খাগড়াছড়িতে ক্যজায় মারমার ২২তম শহীদবার্ষিকী পালন করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখা।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক সমর চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় বলা হয়, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের স্বনির্ভরে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর কার্যালয়ের সামনে ক্যজায় মারমার স্মরণে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক জিকো ত্রিপুরা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি তপন চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সভাপতি দ্বিতীয়া চাকমা।পরিবারের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শোকাঞ্জলি জানান ক্যজায় মারমার পিতা বলি মারমা। এসময় এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠান শেষে ক্যজায় মারমার পিতা বলি মারমা সামাজিক রীতি অনুসারে সিঙ্গিনালা বৌদ্ধ বিহারে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান করেন। এছাড়া শহীদ ক্যজায় মারমার স্মরণে বিকালে স্মরণসভা ও সন্ধ্যায় ফানুস ওড়ানো হয়।
পরে এক সংক্ষিপ্ত সভায় পিসিপি খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি তপন চাকমার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সদস্য রতন স্মৃতি চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সভাপতি দ্বিতীয়া চাকমা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ইউপিডিএফ খাগড়াছড়ি ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা।
সভায় বক্তারা ক্যজাই মারমাকে স্মরণ করে বলেন, ক্যজায় মারমার পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রামের নিবেদিত এক অকোতভয় সৈনিক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে ৩১ মার্চ তৎকালীন গণ পরিষদের নেতা চাথুইপ্রু মারমার মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধের প্রচারণা করতে গিয়ে পানখাইয়া পাড়া এপি ব্যাটেলিয়ন গুলিতে তিনি শহীদ হন। মৃত্যুর আগে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিপীড়িত জাতিসত্তাসমূহের উদ্দেশ্য তিনি বলেছিলেন “স্বায়ত্তশাসনের জন্য রক্তের প্রয়োজন, আমি রক্ত দিয়ে গেলাম”। তার এই প্রতিবাদী কন্ঠ সেদিন পানখাইয়া পাড়ার রাজপথ কম্পিত হয়েছিল। রাস্তায় নেমেছিল শত শত ছাত্র-যুব-জনতা। তিনি জাতির কাছে চির অমর হয়ে থাকবেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.