লামায় এক রোহিঙ্গা পাথর শ্রমিকের লাশ গুমের সময় ধৃত ৪

Published: 24 Apr 2018   Tuesday   

পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপায় নিহত আজম(১৯) নামের এক রোহিঙ্গা পাথর শ্রমিকের লাশ গুমের সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে। লামা উপজেলার গজালিয়ার দূর্গম এলাকা ডলুঝিরি থেকে অবৈধ ভাবে ঝিরিতে গর্ত করে পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপা পড়ে এ রোহিঙ্গা শ্রমিকের মৃত্যু হয়। রোববার সন্ধায় উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।

 

নিহত মো. আজম (১৯) মিয়ানমারের বুচিডং জেলার আইক্যবে এলাকার মো. জাকারিয়ার ছেলে। সে  কক্সবাজারের উখিয়ার মধুছড়ার এএ-৫ নং রোহিঙ্গা শিবির শরণার্থী ক্যাম্পের সদস্য।

 

আটককৃতারা হলেন, পাথর উত্তোলনরী(মালিক) মোঃ বাবুল(৩৬)পিতা- মোঃ জাকের আহাং, মোহছেন আলী(৩৫)পিতা-হাফিজুর রহমান ও রোহিঙ্গা শ্রমিক জাহেদ উল্ল্যাহ(২২)পিতা-আব্দুল হামিদ, মোঃ নুর(১৯)পিতা- ভিজি উল্ল্যাহ।

 

পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত রোহিঙ্গা শ্রমিক মোঃ নুর ও জাহেদ উল্ল্যাহ জানান,গেল ৩মাস আগে তাদেরকে মোঃ বাবুল কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে থাকার জায়গা ও দৈনিক কাজে চাকুরী দেয়ার কথা বলে  তাদের নিয়ে আসেন। সেই থেকে পাথর উত্তোলন কাজে নিয়োজিত রয়েছি। ঝিরি মাঝখানে বড় গর্ত খুঁড়ে পাথর উত্তোলনের সময় মোঃ আজম মাটি চাপা পড়ে প্রথমে আহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।

 

লামা থানার উপ-পরিদর্শক ইকবাল মনির জানান,রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার গজালিয়ার ইউনিয়নের একদম দূর্গম পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত ডলুঝিরির বিভিন্ন খুঁড়ে বড়বড় গর্ত করে পাথর উত্তোলনের সময় মাটি চাপা পড়ে গুরুতর আহত হয় আজম। পরে তাকে পার্শ্ববর্তী চকরিয়ার ইউনিক হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে পাথর উত্তোলনকারীর মালিক ও হোসেন মাঝি লাশটি গোপন করতে মধুছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে না নিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুনরায় উপজেলা ফাইতং-লামা রোড দিয়ে দূর্গম ডলুঝিরিতে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সংবাদ লামা থানার ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ পরিদর্শক (আইসি) মো. হানিফ মোঃ আজমের মরদেহ বহনকারী সিনজিসহ আটক  রাতেই লাশ ময়না তদন্তের  জন্য বান্দরবান হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

 

লামা থানার ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোঃ হানিফ জানান,  রোববার সন্ধ্যার পর আহত অবস্থায় পাথর শ্রমিক মোঃ আজমকে চকারিয়া নিয়ে যায়। পরে রাত ১০টার দিকে পেয়ে সংবাদ পেয়ে মোঃ আজম হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায়। পাথর উত্তোলনের মালিক হাসপাতাল থেকে মোঃ আজমের লাশ তার নিকট আত্মীয়দের কাছে না পাঠিয়ে গুম করার উদ্দ্যেশ্যে পুনরায় ফাইতলয়ে নিয়ে এসেছেন এবং ডলুঝিরির দিকে নিয়ে যাচ্ছ।  ডলুঝরির দিকে একটি সিএনজি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ের চেক পোষ্টে  সিএনজিটি আটক করে। সিএনজিতে মৃত অবস্তায় মোঃ আজমের লাশ বহন করে নিয়ে যাচ্ছিলো আটকৃত  চার ব্যক্তি।

 

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, লাশ গোপন করে গুম করতেই রোহিঙ্গা নাগরিক মোঃ আজমের লাশ  পুনরায় পাথর উত্তোলনের মালিক মোঃ বাবুল ডলুঝিরির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আটকৃত চারজনের মাঝে দু`জন রোহিঙ্গা নাগরিক। তারা পাথর উত্তোলনের শ্রমিক।  এ ব্যাপারে লামা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত