নাইক্ষ্যংছড়িতে মাটি চাপায় নারী শ্রমিকসহ নিহত ৪, আহত ১

Published: 21 May 2018   Monday   

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুনধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া এলাকায় পাহাড়ের একটি নালা কাটতে গিয়ে মাটি চাপা পরে ১ নারীসহ ৪ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ১ জন। সোমবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনািট ঘটেছে। 

 

ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ ও ইউপি সদস্য ক্যম্রাউ মারমা জানান, মনজয় পাড়া এলাকায় রুপায়ন বড়ু–য়া নামের জনৈক ব্যবসায়ী তার মাছের খামারে পাহাড় ঘেষে নালার তৈরীর জন্য ৫ শ্রমিক মাটি কাটছিল। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মাটি কাটা কাটার সময় পাহাড়ের একটি বিশাল অংশ তাদের উপর পরে। এসময় এক নারী শ্রমিকসহ ৪ জন ২০ ফুট মাটির নিচে চাপা পরে। এরা হলেন আবু আহম্মদ(৩০),পিতা: সুলতান, মো. জসিম(২৫), পিতা: শাহ আলম, নুরুল হাকিম(২৫), পিতা আব্দুস শুক্কুর এবং নারী শ্রমিক সোনা মেহের। সেখান থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নুর মোহাম্মদকে। ।  তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধারকর্মীরা এখনো লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি।  লাশ ২০ ফুট মাটি চাপা পরে রয়েছে।  তবে বিজিবি, পুলিশ ও স্থানিয়রা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।  উদ্ধার অভিযানে অংশ নিতে কক্সবাজার থেকে দমকল বাহিনীর সদস্যরা সেখানে রওয়ানা দিয়েছে।

 

জনপ্রতিনিধিরা আরও জানান, শ্রমিকরা পাহাড়ের নিচে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় কাজ করছিল। হঠাৎ তাদের উপর পাহাড় ধসে পরলে এ ঘটনা ঘটে। 

 

এদিকে ড্রেনটি গভীর হওয়ার কারণে স্ক্যাবেটর দিয়ে মাটি সরানোর কাজ চলছে। ড্রেনটি গভীর হওয়ার দরুণ মাটি সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। নিহত শ্রমিকদের সবার বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ির বড়ইতলী গ্রামে। পাহাড় কাটার মূলহোতা সুপায়ন বড়ুয়া ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ভালুক্ক্যা এলাকায়।  

 

স্থানীয়রা জানান, ড্রেনটি গভীর হওয়ার কারণে স্ক্যাবেটর দিয়ে মাটি সরানোর কাজ চলছে। ড্রেনটি গভীর হওয়ার দরুণ মাটি সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের। নিহত শ্রমিকদের সবার বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ির বড়ইতলী গ্রামে। পাহাড় কাটার মূলহোতা সুপায়ন বড়ুয়া ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে। তাঁর বাড়ি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার ভালুক্ক্যা এলাকায়।

 

স্থানীয় ও পরিবেশবাদীদের মতে,মাছের প্রজেক্টের জন্য ড্রেন তৈরিতে মাটি কাটা হলেও মূলত পাহাড় কাটাই হচ্ছে। পাহাড় কেটে গভীরভাবে ড্রেন বানানো হচ্ছে। মূলত পাহাড় কাটার কারণেই মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হয়। পাহাড় কেটে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি স্থাপনে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। বর্ষা মৌসুম আসলেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়। এই মাইকিং করে সর্তক করে দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে প্রশাসন। এরপর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিকারীদের ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। পাহাড় কাটার ব্যাপারেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেই বললেই চলে।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরোয়ার কামাল জানান, পাহাড় কাটার সময় ৫ জন শ্রমিক মাটি চাপা পড়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল থেকে একজনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।


জেলা প্রশাসক মো: আসলাম হোসেন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের তালিকা এখনো সম্পূর্ণভাবে হাতে এসে পৌছায়নি। শিঘ্রই চলে আসবে। ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের ব্যাপারে সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে লোকজনদের সব সময় সতর্ক করে দেওয়া হয়। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত