রাঙামাটিতে মামলায় একজনকে সশ্রম কারাদন্ড ও দুজনকে ৭ বছর জেল

Published: 26 Jun 2018   Tuesday   

রাঙামাটিতে নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল আইনের মামলায় এই প্রথম বারের মতো মঙ্গলবার একজনকে সশশ্রম কারাদন্ড(১৪ বছর) ও দুজনকে ৭ বছর করে  জেল জরিমানা দিয়েছেন আদালত। এরা হলেন সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত সিরাজুল ইসলাম এবং ৭ বছর করে জেল হয়েছে আনোয়ার হোসেন ও তরিকুল ইসলাম।

 

জেলা জর্জ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি ও খলিলুর রহমানের পক্ষের আইনজীবি জুয়েল দেওয়ান জানান, দীর্ঘ ২১ বছর ধরে মামলার চলার পর মঙ্গলবার নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুনাল আইনের বিচারক মোহাম্মদ কাউসার এই মামলার রায় দেন। এতে সামসুন নাহারের স্বামী ও জামিনে পলাতক আসামী আব্দুল সাত্তারের বিরুদ্ধে আনা মামলা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সশ্রম কারাদন্ড এবং  আনোয়ার হোসেন ও তরিকুল ইসলামকে ৭ বছরের জেল  ও ৫০ হাজার  টাকা জরিমানা করেন আদালত। এছাড়া অপর আসামী খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেখসুর খালাস দেয়া হয়েছে। 

 

তিনি আরো জানান,১৯৯৭ সালের রাঙামাটির বরকল উপজেলার কলাবুনিয়া এলাকায় আব্দুল সাত্তারের মেয়ে সামসুন নাহারের স্বামী সিরাজুল ইসলাম যৌতুকের কারণে মারধর করলে তিনি গুরুত্বর আহত হন। পরে  সামসুন নাহারের বাবা আব্দুল সাত্তার বাদী হয়ে মেয়ে জামাইসহ ৪জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ৪জনকে পুলিশ আটক করলেও মামলার আসামী সিরাজুল ইসলাম, তার ভাই আনোয়ার হোসেন ও তরিকুল ইসলাম আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে  বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। এছাড়া অপর আসামী আব্দুল সাত্তারের বোনের জামাই খলিলুর রহমান দুই থেকে আড়াই বছর জেল খাটার পর তিনিও জামিনে ছাড়া পান। এই মামলার মুল ভিক্টিম সামসুন নাহার স্বামীর নির্যাতনের ফলে বর্তমানে পুঙ্গত্ববরণ করছেন।

 

তিনি আরো জানান,দীর্ঘ দিন প্রতীক্ষার পর ২০০৮ সালে রাঙামাটিতে জেলা ও দায়রা প্রতিষ্ঠার পায় এবং পর পর নারী ও শিশু দমন ট্রাইবুন্যাল আদালত করা হয়েছে। এই আদালতে প্রথমবারের মতো একটি চাঞ্চল্যকর মামলা রায় দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত, যা একটি ইতিবাচক দিন। এই মামলার রায়ের ফলে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ করতে আসামীসহ অন্যান্যরা সাহস করবে না।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত