লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের লাইল্যারমার পাড়ায় গেল মঙ্গলবার রাতে বন্য হাতির একটি পাল আক্রমন চালিয়ে তিনটি বসত ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। বন্য হাতি গুলো ভেঙ্গে ফেলা বসত ঘরে রক্ষিত ধান খেয়ে পূনরায় পাহাড়ে চলে যায়।
ইউনিয়নের ১ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ নাছির উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার সময় তার ওয়ার্ডের লাইল্যারমার পাড়ায় বন্য হাতির একটি পাল আক্রমন চালায়। এতে পালে ১০ থেক ১২টির বন্য হাতি ছিল। হাতি গুলো এ তিনটি বাড়ি ঘেরাও করে দুটি হাতি এগিয়ে এসে এলাকার আব্দুর শুক্কুর, হেলাল উদ্দিন ও জাহাঙ্গিরের বসত ঘর গুলো ভেঙ্গে ফেলে দেয়। এর পর অন্যান্য হাতিরাও গিয়ে ঘরে রক্ষিত ধান গুলো খেয়ে পূনরায় পাহাড়ে চলে যায়।
উপজলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, গেল একমাস ধরে খাদ্য খেতে এসে বন্য হাতির পাল আমার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের লাইল্যারমার পাড়া, ফকিরা খোলা, পূর্ব হারগাজাহ আরো কয়েকটি এলাকায় আক্রমন চালাচ্ছে। এ পযর্ন্ত ২৩টি বসত ঘর সম্পূর্ন ভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
হাতির আক্রমনের শিকার আব্দর শুক্কুর ও জাহাঙ্গির জানান, ১০ থেকে ১২ টি বন্য হাতির দল এসে প্রথমে বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে দেয়। এরপর বাড়িতে রক্ষিত ২শত ৭০ আড়ি ধান খেয়ে হাতি গুলো চলে যায়। দুটি হাতি যখন বাড়ির পেছন দিক থেকে ভাঙ্গতে শুরু করলে তখন আমার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়ে কোন রকম জীবন রক্ষা করি।
লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে গেল একমাস ধরে বন্য হাতির দল বসত বাড়িতে আক্রমন চালাচ্ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন বন বিভাগে ক্ষতি পূরনের আবেদন করলে বন বিভাগ তাদের যাচাই-বাচাই করে ক্ষতি পূরণ দেয়ার চেষ্টা করবে।
লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরে জান্নাত রুমি বলেন, পাহাড়ে বন্য হাতির খাদ্য না থাকায় হাতি গুলো লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। উপজলার ফাঁসিয়াখালীতে বন্য হাতির আক্রনের বিষয়টি উধ্বর্তন কতৃর্পক্ষকে জানিয়েছি। তবে এলাকার লোকজনদের নিরাপদে থাকারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.