অচিরেই রাবিপ্রবি’র স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মার্ণের কাজ শুরু হবে-ইউজিসি চেয়ারম্যান

Published: 11 Aug 2018   Saturday   

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান(ইউজিসি) প্রফেসর আব্দুল মান্নান রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে(রাবিপ্রবি)রুপান্তরের লক্ষ্যে স্থানীয় জনসাধারণ ও প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।


তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতোমধ্যে শহরের ঝগড়াবিল মৌজার ৬৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। চলতি বছরেই ২২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে মাষ্টার প্ল্যান তৈরী ও ক্যাম্পাসে ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন করা হয়েছে। অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।


শনিবার রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে আয়োজিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন ব্যবস্থপনা বাংলাদেশ প্রেক্ষিত শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।


রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার অঞ্জনকুমার চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা এবং ইউজিসি’র প্রশাসন বিভাগের উপসচিব মোঃ শাহিন সিরাজ।


কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোঃ কামরুল হাসান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জাকিয়া পারভীন, ইউজিসি’র সিনিয়র সহকারি সচিব মোর্শেদ আলম খন্দকার, সিনিয়র সহকারি পরিচালক নজরুল ইসলাম ও সহকারি পরিচালক রবিউল ইসলাম রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ইউজিসি কর্মকর্তাগণ, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ফোকাল পয়েন্টরা উপস্থিত ছিলেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ইউজিসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মান্নান আরো বলেন, রাঙামাটি দেশের একটি প্রান্তিক অঞ্চল। এ অঞ্চলের অধিবাসীদেরকে উচ্চ শিক্ষায় এগিয়ে নিতে সরকার এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এক দিন রাঙামাটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিকে কাগজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মধ্যে বার্ষিক কর্মস্পাদন চুক্তি সই হয়েছে। কর্ম সম্পাদন চুক্তি হল একটা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে চুক্তির আসল কাজ হচ্ছে অপির্ত দায়িত্ব নিষ্ঠা,সততা ও আন্তরিকতা সাথে সফলতায় পালন করা। তবে এই বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পর সকলেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করলে তাহলে বাংলাদেশের অনেক সমস্যা রাতারাতি সমাধান না হলেও দ্রুততম সময়ে সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

দেশ ও জাতির কল্যাণে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরির উপর গুরুত্বরোপ করে তিনি জনগণের করের টাকার সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলকে তাদের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করার আহ্বান জানান।


রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি, উন্নত কর্ম পরিবেশ তৈরি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গ্রাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংকট, সমস্যা ও সফলতার কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, নানান প্রতিবন্ধকতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টির তার নিজস্ব ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। এখনো অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। তবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাসে অস্থায়ীভাবে শ্রেনী পাঠ শুরু করা হবে।


উল্লেখ্য, সরকারের জাতীয় শুদ্ধাচার কর্মকৌশলের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। যার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চশিক্ষার উৎকর্ষতা সাধন করা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত