রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের প্রধানদের নিয়ে রোববার মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর, সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, সদস্য থোয়াইচিং মং, সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য মোঃ জানে আলম, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা, অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা’সহ হস্তান্তরিত বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, এ জেলার সার্বিক উন্নয়নে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। সরকারি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে যাতে কোন ধরনের কমতি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
আরো তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগ’সহ বিভিন্ন স্তরে উন্নয়ন হচ্ছে। সরকারের এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, সরকার আমাদের নিয়োগ দিয়েছেন জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য। তাই পরিষদের হস্তান্তরিত বিভাগের সকল কর্মকর্তাদের সততার সাথে জনকল্যাণে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন তিনি।
সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার জানান, জেনারেল হাসপাতালের পরিত্যক্ত মহিলা ওয়ার্ডটি প্রয়োজনীয় সংস্কার কার্যক্রম শেষে আগামীকাল থেকে পুনরায় চালু করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ১১হাজার লিফলেট বিতরণ ও বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যানার টাঙ্গানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, গেল মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে তবে গত মাসের তুলনায় চলতি মাসে রোগীর সংখ্যা কম। ধারণা করা হচ্ছে রোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমে এসেছে ।
প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনছুর আলী চৌধুরী জানান, চেলাছড়া ও আটারকছড়া আবাসিক বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এখনো কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। এছাড়া জেলার ৮০টি বিদ্যালয় জাতীয়করণের আওতায় এখনো আসেনি। এগুলো জাতীয়করণ করা জরুরী।
মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা জানান, বিলাইছড়ি মডেল ও কাউখালী পোয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছে এবং কাচালং ও নানিয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হবে। এছাড়া দপ্তর হতে বিদ্যালয় পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোরঞ্জন ধর জানান, আসন্ন কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে জেলার ১৮টি পশুর হাটে ১৮টি মেডিকেল টিম নিয়োজিত রয়েছে। কোন পশু অসুস্থ হলে মেডিকেল টিম চিকিৎসা প্রদান করবে। এছাড়া কসাইদের পশু জবাইয়ের পর চামড়া সংরক্ষণের উপর দপ্তর হতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। অন্যদিকে চামড়া সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতার উপর বেতারে ১৮ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত বার্তা প্রচার করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.