রাঙামাটির বালুখালী ইউনিয়নের দুর্গম বসন্ত পাংখোয়া পাড়া পরিদর্শন করেছেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা। পরিদর্শনকালে বসন্ত পাংখোয়া পাড়াবাসীর পক্ষ থেকে তাকে উঞ্চ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
গেল ২০ অক্টোবার পরিদর্শনকালে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার লোকজনদের সাথে বিভিন্ন সমস্যার ব্যাপারে কথা বলেন। এসময় বসন্ত পাংখোয়া পাড়াবাসী তাকে পেয়ে পাড়ার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন। পরে রাতে পরিরষদ চেয়ারম্যানের সৌজন্য মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার কিশোর-কিশোরীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পড়ে মনোমুগ্ধকর ঐহিত্যবাহী বাশ নৃত্য পরিবেশন ছাড়াও গান পরিবেশন করে। অনুষ্ঠানে বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার শিশুসহ নারী-পুরুষরা অংশ নেন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা। এছাড়া বক্তব্যে দেন বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার বাসিন্দা ও বালুখালী ইউপির সাবেক মেম্বার নিকোলাই পাংখোয়া, সমাজকর্মী যশেশ্বর চাকমা বিল্টু, বিশিষ্ট সাংবাদিক হিমেল চাকমা। অনুষ্ঠানে পাড়ার বিশিষ্ট মুরুববী ছাড়াও চেয়ারম্যানের সফর সঙ্গী সাংবাদিক ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে পরিষদ চেয়ারম্যান পাংখোয়া পাড়ার সাংস্কৃতিক দলকে নগদ অর্থ তুলে দেন। এছাড়া পাংখোয়া পাড়াবাসীদের জন্য চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমা বলেন, পাংখোয়া পাড়ায় নিজেই এসে বুঝতে পেরেছি এখানকার মানুষ সত্যিই উন্নয়নসহ বিভিন্ন কিছুই থেকে অবহেলিত রয়েছেন। তবে বসন্ত পাংখোয়া পাড়াটি খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর। এ ধরনের মনোমুগ্ধকর ও প্রাকৃতিক পরিবেশের গ্রাম কোথাও দেখা যায় না।
তিনি আরো বলেন, এই বসন্ত পাংখোয়া পাড়াটি যুগ যুগ অবহেলিত রয়েছে। এই গ্রামের লোকজন সত্যিই পরিশ্রমী। নিজেদের উৎপাদিত কলা, তরিতরকারীসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে জুরাছড়ি উপজেলার বনযোগী ছড়া বাজারের বিক্রি করে থাকেন। এসব উৎপাদিত পন্য বিক্রি করতে ও যাতায়াতের জন্য একটি রাস্তা প্রয়োজন। এছাড়া বিদ্যূৎসহ নানান উন্নয়ন দরকার। তবে তার উপজেলা পরিষদের সীমিত বাজেট থাকার কারণে ইচ্ছে থাকার সত্বেও বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার জন্য উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের এই পাড়াটির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে উন্নয়ন করা দরকার।
তিনি বসন্ত পাংখোয়া পাড়াবাসী যাতে ধর্মীয়, সাংস্কৃতিসহ নানান অনুষ্ঠান করতে পারে সে জন্য তার উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সাউন্ড সিস্টেম প্যানেল, গীর্জার জন্য একশ ওয়াট এর দুটি সোলার প্যানেল ও হারমোনিয়াম দেয়ার ঘোষনা দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.