শান্তি ও মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে জুরাছড়ির সুবলং শাখা বন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব সম্পন্ন

Published: 27 Oct 2018   Saturday   

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরাজমান ভ্রাতি সংঘাট বন্ধসহ সারা দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনার মধ্য দিয়ে রাঙামাটি জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ষড়বিংশতি কঠিন চীবর দানোৎসব শেষ হয়েছে। 

 

জুরাছড়ি উপজেলার সুবলং শাখা বন বিহার মাঠে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ধর্মদেশনা দেন রাঙামাটি রাজ বন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির ও জুরাছড়ি সুবলং শাখা বন বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুরাছড়ি সেনা জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কে এম ওবায়দুল হক। বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধল কুমার চাকমার সভাপতিত্বে বক্তব্যে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা। এসময় জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উদয় জয় চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রর্বতক চাকমা, জেএসএসের জেলা কমিটির ভুমি বিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ দেওয়ান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।


এর আগে বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধল কুমার চাকমা ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরী চীবর (বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় বস্ত্র) উপস্থিত হাজার হাজার নারী-পুরুষের সাধু-সাধু-সাধু উচ্চারনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষু সংঘের কাছে দান করা করেন। পরে তা সকল প্রানীর সুখ ও মঙ্গল কামনায় উৎসর্গ করা হয়। অনুষ্ঠানে চীবর দানের পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিতে পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টপরিস্কার দানসহ নানাবিধ দান কার্য সম্পন্ন করা হয়। এরপর শতাধিক ভিক্ষু একযোগ ধর্মীয় সুত্রপাঠ (বুদ্ধের বানী) করেন। সন্ধ্যায় বিহার প্রাঙ্গনে প্রদীপ প্রজ্জালন করা হয়। এর আগে গত শুক্রবার বেলা ২টা থেকে তুলা থেকে সুতা বের করে রং করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই দানকৃত চীবর প্রস্তুুত করা হয়।


সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জোন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কে এম ওবায়দুল হক পিএসি বলেন, বুদ্ধের অহিংস নীতি অনুসরণ করলে সমাজে শান্তি ও সুখ আসবে বলে মন্তব্য করেন।


জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার” বর্তমান সরকারের প্রান্তিক এলাকায় সকল ধর্ম প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে কাজ করেছে।


উল্লেখ্য, তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় বিশাখা নামে এক পূন্যবতী কর্তৃক প্রবর্তিত রীতি অনুযায়ী জুম তুলা থেকে সুতা তৈরীসহ বুনন কাজের সকল প্রক্রিয়া শেষে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় চীবর কোমর তাঁতের মাধ্যমে তৈরী করে ভিক্ষুসংঘের উদ্দিশ্যে দান করা হয়। বিশাখার নিয়ম অনুসরণ করে শুক্রবার বেলা ২টা থেকে তুলা থেকে সুতা বের করে রং করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরী করা হয়। পূন্যর্তীদের বিশ্বাস এ কাজের প্রভাবে মৃত্যুর পর নির্মাণগামী হওয়া যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত