রাঙামাটিতে বিশ্ব সন্ত্রাসী বিরোধী সংগঠন নামে একটি সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠনের রাঙামাটি জেলা কমিটির অনুমোদন প্রদান করা হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন, রাঙামাটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক স্নেহশীষ বড়ুয়া সেন্টু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত ও ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল হোসেন ।
এছাড়াও সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজনকে রাখা হবে বলেও জানান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু ।
রোববার সন্ধ্যায় রাঙামাটি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সম্মেলন কক্ষে উক্ত সংগঠনটির আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ব সন্ত্রাসী বিরোধী সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান খসরু এ কমিটির অনুমোদন প্রদান করেন।
রাঙামাটি জেলার দায়িত্ব প্রাপ্তদের তিন বছর মেয়াদী এই কমিটিকে অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার দিক নির্দেশনা নিয়ে সংগঠটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ব সন্ত্রাসী বিরোধী সংগঠনের রাঙামাটি জেলার কনভেনর রবিউল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল জব্বার সুজন ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব সন্ত্রাসী বিরোধী সংগঠনের বাংলাদেশ অধ্যায়ের সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম। এছাড়াও কেন্দ্রীয় পরিষদের বিশেষ উপদেষ্টা নুরুল আলম সও, রাঙামাটি জেলার কো-অডিনেটর আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ অধ্যায়ের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোস্তফা প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী সকল রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে এই কমিটি করতে হবে। রাজনৈতিক সামাজিক ও আদর্শিক ভাবে এই সন্ত্রাস বিরোধী সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
তারা আরো বলেন, আজকে যারা বলছে, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির কারনে এই জঙ্গিবাদীদের উত্থান ঘটছে, তারা ইতিহাস ও বিশ্ব পরিস্থিতিকেই অস্বীকার করছে। সামরিক শাসন ও বিএনপি জামায়াত জোট শাসনের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মধ্যে দিয়ে জঙ্গিবাদের যে উত্থান ঘটে তারই পরিণতি এই সাম্প্রতিক তৎপরতা।
বিশ্ব সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠন একটি সামাজিক সংগঠন। বর্তমাম সমাজে সন্ত্রাস এবং মাদক প্রতি রঞ্জে রঞ্জে মিশে গিয়েছে। তাই বিভিন্ন সভা এবং সেমিনারের মাধ্যমে এই কমিটিকে অন্যতম কাজ হবে সাধারন জনগনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এই লক্ষে কাজ করতে আমরা রাঙামাটিবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.