জুরাছড়ি জ্ঞানদ্বয় বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত

Published: 02 Nov 2018   Friday   

সম্প্রতি কিছু কিছু বিপদগ্রস্থ গোষ্ঠী গুজবের মাধ্যমে বিরাজ মান সম্প্রীতি ও উন্নয়নকে বাঁধা সৃষ্টি এবং শান্তিকে বিনষ্ট্য করার জন্য সেনা বাহিনীর নামে কিছু মিথ্যে অপবাদ প্রচার করছে। যা শত ভাগ মিথ্যে- বরং সেনা বাহিনী শান্তি-সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা এগিয়ে নিতে জীবন উৎস্বর্গ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে। সেনা বাহিনী প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের সব সময় সহযোগীতায়-ছিল এবং সব সময় সহযোগীতা করে যাবে।

 

শুক্রবার জুরাছড়ি বনযোগীছড়া জ্ঞানদ্বয় বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোন উপ অধিনায়ক মেজর ইয়াসির শারওয়াত পিএসসি একথা বলেন।


স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরুন দেওয়া, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা এবং বিশেষ প্রার্থনা করেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী দেওয়ান, বনযোগীছড়া মৌজার হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, বড়ইতলীর এলাকার কার্ব্বারী রিতেন চাকমা, জেলা কমিটির জেএসএসের ভুমি বিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ দেওয়ান প্রমূখ।


এর আগে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তৈরী চীবর ( বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরার কাপড়) সকল প্রানীর সুখ ও মঙ্গল কামনায় উৎসর্গ করা হয়। বেলা আড়াইটায় বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরুন দেওয়ান শত শত নারী-পুরুষের সাধুবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করেন। এছাড়া সেনা বাহিনীর পক্ষ থেকে মেজর ইয়াসির শারওয়াতসহ নর-নারীরা নিজস্ব চীবর ভিক্ষু সংর্ঘের কাছে দান করেন।


অনুষ্ঠানে চীবর দানের পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিতে পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টপরিস্কার দানসহ নানা দানের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এরপর উপস্থিত ভিক্ষু একযোগ ধর্মীয় সুত্রপাঠ (বুদ্ধের বানী) করেন। অনুষ্ঠানে বিল্যছড়া বৌদ্ধ বিহারে আবাসিক অধ্যক্ষ বৌধিপ্রিয় মহাস্থবীর, হাজাছড়া বৌদ্ধ বিহারের আবাসিক অধ্যক্ষ সংঘপাল মহাস্থবীর, আমতলী শাখা বন বিহারের অধ্যক্ষ ধর্মজ্যোতি স্থবীর পূণ্যার্থী নারী-পুরুষের উদ্দিশ্যে ধর্মীয় দেশনা (উপদেশ বানী) দেন।


মঙ্গলবার তথাগত গৌতম বুদ্ধের সময় বিশাখা নামে এক পূন্যবতী কর্তৃক প্রবর্তিত রীতি অনুযায়ী জুম তুলা থেকে সুতা তৈরীসহ বুনন কাজের সকল প্রক্রিয়া শেষে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পরিধেয় চীবর কোমর তাঁতের মাধ্যমে তৈরী করে ভিক্ষুসংঘের উদ্দিশ্যে দান করা হয়।


বিশাখার নিয়ম অনুসরণ করে সোমবার বেলা ২টা থেকে তুলা থেকে সুতা বের করে রং করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চীবর তৈরী করা হয়। পূন্যর্তীদের বিশ্বাস এ কাজের প্রভাবে মৃত্যুর পর নির্বাণগামী হওয়া যায়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত