রাজস্থলীতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও সেচ পাম্প ব্যবহার

Published: 28 Jan 2019   Monday   

দীর্ঘদিন ধরে মিটার বিহীন অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে ও শক্তিশালী সেচ পাম্প ব্যবহারের মাধ্যমে ধানি জমিতে পানি সরবরাহ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত দুই সহধরকে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে একটি অবৈধ মিটার জব্দ করতে সক্ষম হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকেলে রাজস্থলী উপজেলাধীন শফিপুর এলাকায়।

 

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় দু বছর ধরে এলাকার শফিপুরে বসবাসরত মোঃ হানিফ পাটোয়ারী ও মোঃ ইসমাইল নামে দুই সহধর নিজেদের আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের মিটার চেকার পরিচয় দিয়ে এলাকার বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। এছাড়া তারা উভয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এবং মিটার বিহীন সেচ পাম্প ব্যবহারের মাধ্যমে ধানি জমিতে পানি সরবরাহ করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এলাকাবাসী বিষয়টি বিলম্বে টের পাওয়ার পর ঘটনার দিন বিকেলে ১৫-২০ জন অধিবাসী অবৈধ সেচ পাম্প চালু অবস্থায় অভিযুক্ত মোঃ হানিফ পাটোয়ারী ও মোঃ ইসমাইলকে একটি মিটারসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে অবৈধ মিটারটি বাঙালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেওয়া হয় এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবী জানায়। এলাকার মাসুদ তালুকদার জানায়, এরা দুভাই মিটার চেকারের ক্ষমতা দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের নানা ভাবে হয়রানি করে আসছে। তারা মিটার চেকারের অজুহাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এবং অবৈধভাবে সেচ পাম্প ব্যবহার করে প্রতি কানি ফসলি জমিতে পানি সরবরাহ বাবদ ৩/৪ হাজার টাকা করে নিচ্ছে। এভাবে তারা ইতিমধ্যে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ হানিফ পাটোয়ারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তার ভাই ইসমাইলকে রাজস্থলী উপজেলা সদরসহ উপজেলার শফিপুর পর্যন্ত এলাকায় মিটার চেক করার দায়িত্বে নিয়োজিত করেছেন আবাসিক প্রকৌশলী আশফাকুর রহমান মুজিব। তবে সে স্থায়ী কোন কর্মচারী নয়। অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত দুদিন আগে একটি সেচ পাম্প বসানো হয়েছে পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমোদনের জন্য একটি আবেদন করার কথা রয়েছে তবে দুদিন আগে বসানো সেচ পাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগটি অবৈধ ছিলো বলে তিনি স্বীকার করেন। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাঙালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ঞোমং মারমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন শুনেছি তাদেরকে এলাকার মিটার চেকার হিসাবে আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) নিয়োজিত করেছেন। তারা এলাকার মানুষজনের অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা সহ মিটার চেক করে গ্রাহকের হাতে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কাজ করে থাকে। তবে তারা নিজেরাই মানুষজনকে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে এবং দিনরাত অবৈধ লাইনের সাহায্যে সেচের পানি সরবরাহ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

 

তিনি আরো বলেন বিষয়টি আমি নিজেই আবাসিক প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান। আবাসিক প্রকৌঃ আশফাকুর রহমান মুজিবের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত