রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে সাত খুনের ঘটনা মর্মান্তিক উল্লেখ করে সন্ত্রাসীদের ভূল স্বীকার করে স্বাভাবিক জীবনের ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরূল হুদা। তিনি বলেন, বাঘাইছড়িতে সংঘটিত হত্যাকান্ড একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ভবিষ্যতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন হত্যাকান্ড কেউ যাতে পুনরাবৃত্তি না করতে পারে নির্বাচন কমিশন সেই বিষয়ে সর্তক রয়েছে। ভবিষ্যতে নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে।
রোববার বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী সহিংতা নিয়ে নিহতদের স্বজন ও আহতদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশন একেএম নুরুল হুদা এ কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি ও রক্তক্ষয়ী সংঘাত পরিহারের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বন্দুকের নল দিয়ে কোন সমস্য সমাধান বয়ে আনে না। সন্ত্রীরা যে হামলা করেছে তার নিন্দা জানানো আমার ভাষা নেই। কোন আলোচনা থাকলে বসে আলোচনা করুন। যারা হামলা করেছে তাদের চিহিৃত করে আইনের আওতায় আনা হবে। যারা হামলা করেছে তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে নির্বচন কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যান্যর মধ্যে উস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাৎ হোসেন, নির্বাচন সচিব হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির সহ স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে গেল ১৮ মার্চ সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৭ জনের পরিবারকে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহত ১৯জন ১ লক্ষ টাকা ও সাধারণ আহত ১৪জনকে ৫০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
উল্লেখ,গেল ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনের ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যায় বাঘাইহাট থেকে উপজেলা সদরে ফেরার পথে দীঘিনালা –মারিশ্যা সড়কের ৯ কিলো নামক স্থানে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ব্রাশ ফায়ার করলে ৭ জন নিহত ও ২৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.