অবৈধভাবে পাহাড়ের খাস জমি বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-জেলা প্রশাসক

Published: 23 Apr 2019   Tuesday   

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ বলেছেন,রাঙামাটি শহরের ঝুকিপুর্ন এলাকার তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে। কিন্তু জায়গা না থাকায় কাউকে সরিয়ে অন্যত্র নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে প্রশাসন।

 

তিনি, বর্ষা আসার আগেই জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটি গঠন, ফায়ার সার্ভিস,রেডক্রিসেন্ট ও রেডক্রস,সেনাবাহিনী,বিজিবি,পুলিশ,আনসার,স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনজিও এবং সরকারি আধাসরকারি বাহিনীসহ সকল স্তরের লোকজন নিয়ে দুর্যোগ  প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রস্ততি গ্রহনের জন্য আহবান জানান।

 

তিনি  যারা পাহাড়ের খাস জমি বিক্রি করে এবং জমি নিয়ে দালালি করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের হুশিয়ার করে দেন তিনি। 

 

জেলা প্রশাসন সন্মেলন কক্ষে পাহাড় ধস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ  মোকাবেলায় করণীয় প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।

সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন,রাঙামাটি সদর জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল রফিকুল ইসলাম পিএসসি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এসএম শফি কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম,ফায়ার সার্ভিসের সহকারি পরিচালক দিলদার আলমসহ সরকারি বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

 

জেলা প্রশাসক দুর্যোগ মোকাবেলায় বিগত দিনে এনজিও গুলোর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বলেন, আগামীতে যেন স্থানীয় এনজিওগুলো সকল প্রকার দুর্যোগে জনগণের পাশে থাকেন। গত ২০১৭ সালে দুর্যোগে রাঙামাটিতে ১২০জন মারা গেছে। সে সময় ফায়ার সার্ভিসের ভূমিকা ছিল অতুলণীয় ও প্রশংসনীয়।

 

সভায় বক্তারা ২০১৭ সালে ভয়াবহ পাহাড় ধসে ১২০ জন মারা যাওয়ার পরও  অনেকে আবারও ওই সব ঝুকিপুর্ণ এলাকায় গিয়ে বসবাস করছে।  আগামী বর্ষা মৌসুমে ঝুকিপূর্ন স্থানে লোকজন বসবাস না করতে  এবং আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে এলাকায় এলাকায় সচেতনা সৃষ্টি  গড়ে তুলতে আহ্বান জানান। 

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত