বাঘাইছড়িতে করেঙ্গাতলি বাজারে ফাকাঁ গুলি ছুড়ে আতংক:১৫জনকে অপহরণ,পরে ১০জনকে মুক্তি

Published: 29 Jun 2019   Saturday   

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের করেঙ্গাতলী বাজার থেকে শনিবার সকালের দিকে একদল দুর্বৃত্ত ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ১৫জনকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এর মধ্যে নেওয়ার পথে ও বিকেলে ১০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন এমএন লারমা গ্রুপের জনসংহতি সমিতিকে (সংস্কারপন্থী) এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে অস্বীকার করা হয়েছে। 

 

জানা গেছে, উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের  শনিবার গতকাল করেঙ্গাতলী বাজারে হাটের দিনে  সকাল সাড়ে আট টার দিকে বাজার জমে উঠতেই হঠাৎ ৮ থেকে ১০জন অস্ত্রধারী প্রবেশ করে। এসময় দুর্বৃত্তরা ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে বাজারে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এতে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মূখে বিভিন্ন গ্রামে থেকে আসা অন্তত ১৫জন ব্যক্তিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। কাচালং নদী পাড় করে রুপকারী গ্রামের দিকে নিয়ে যাওয়া হয় অপহৃতদের। পরে নেওয়ার পথে ও বিকেলে পূর্ণ সাধন চাকমা (৪০), তপন চাকমা (২৮), মংগে চাকমা, কান্দারা চাকমা, সচারুময় চাকমা, শান্তি কুমার চাকমা, প্রিয়ময় চাকমা অমর চার্য চাকমা, ধন কুমার চাকমা ও সুবেশ চাকমাকে ছেড়ে  দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বঙ্গলতলী গ্রামের অঙ্গত চাকমা (৪০), একই ইউনিয়নের ডুলুবন্যা গ্রামের সন্তোষ কুমার চাকমা (৪৪), ভালুকমাজ্জ্যা গ্রামের সঞ্চয় চাকমা ( ২৮) ও মারিশ্যা ইউনিয়নের খেদারছড়া গ্রামের অজয় চাকমা (৪৫) ও ভূঁইয়োছড়া গ্রামে অরুন চাকমাকে মুক্তি দেয়নি।  অপহরণকারীরা  শনিবার দুপুরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য  অপহৃতদেও স্বজন ও গ্রাম প্রধানদের খবর দেয়। পরে গ্রামপ্রধানরা অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন  অস্ত্রধারীরা সবাই  এমএন লারমা গ্রুপের জনসংহতি সমিতির(সঙস্কারপন্থী)  সশস্ত্র কর্মী। তবে বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার জনসংহতি সমিতির ( এমএন লারমা) সভাপতি সুরেশ কান্তি চাকমা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, করেঙ্গাতলী বাজারে ঘটনা ও অপহরণের বিষয়ে তার দল দায়ী নয়। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে দায়ী করা হচ্ছে। এমএন লারমা গণতান্ত্রিক বিশ্বাসী, এধরণের ঘটনার সংশ্লিষ্টতা প্রশ্নেও আসে না।

 

বঙ্গলতলী ইউয়িন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্ঞানজ্যোতি চাকমা জানান, বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে ১৫জন সাধারণ মানুষকে তুলে নিলেও  পরে বিভিন্ন সময় ১০জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। বঙ্গলতলী ও মারিশ্যা ইউনিয়নের পাঁচ গ্রাম থেকে ৫জনকে এখনো ছেড়ে দেওয়া হয়নি।  তবে তাঁদের স্বজন ও গ্রামের মুরুব্বীরা অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।

 

বাঘাইছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল মঞ্জুর জানান, করেঙ্গাতলী বাজারে দুর্বৃত্তরা ফাঁকাগুলি ছুড়ার ঘটনা শুনেছি। ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে অস্ত্রের মূখে তুলে নেওয়া গিয়ে পরে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত