চলে গেলেন খ্যাতিমান গেংখুলী রমনী মোহন চাকমা

Published: 21 Jul 2019   Sunday   

পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমাদের মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান এবং বয়জেষ্ঠ চারণ কবি রমনী মোহন গেংখুলী(ভরন চান চাকমা) আর নেই। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনি রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে স্ত্রী, সন্তান ও অসংখ্য ভক্ত রেখে গেছেন।


পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গেল ১৭ জুন রমনী মোহন গেংখুলী ভারতের মিজোরামে তার কন্যা সন্তানের বাড়িতে মৃত্যূবরণ করেন। পাহাড়ের আনাচে কানাচে সূদীর্ঘ কাল তিনি বেলাহ্ ( বেহেলা বিশেষ) দিয়ে নান্দনিক ছন্দবৃত্তের মায়াজালে মানুষকে দীর্ঘকাল ধরে বেঁেধে রেখেছিলেন। রাধামণ-ধনপুদি, চাদিগাং ছাড়া, চান্দবীর বার মাস প্রভৃতি পালা গানের মাধ্যমে তিনি ফুটিয়ে তুলতেন জাতি হিসেবে চাকমাদের গৌরবময় ঐতিহ্য গাঁথা। তিনি ১৩ বছর বয়স থেকে তাঁর গানের গুরু বান্দারা গেংখুলীর কাছ থেকে তালিম নিয়ে গুরুর সাথে পার্বত্য এলাকার সর্বত্র গেংখুলী পরিবেশন করেন।

 

তিনি ভারতের ত্রিপুরা এবং আরাকান রাজ্যে অসংখ্য বার নানান আসরে গেংখুলী গান পরিবেশন করেছেন। এই শিল্পে বিশেষ অবদানের ২০০৯ সালে চাকমা রাজপুন্যাহ্ উৎসবে তাঁকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক তাঁকে ইতোমধ্যে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই শিল্পকে ধারণ করতে গিয়ে বক্তি জীবনে তিনি কোথাও থিতু হতে পারেন নি। তাই কখনো বিলাইছড়ি, কখনো বড় মোধক, কখনো আবার জুরাছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গাামটি, ভারত এভাবেই কাটিয়েছেন জীবনটা।

 

তাঁর সর্বশেষ আনুষ্ঠানিক পরিবেশনা ছিল গত ৭ থেকে ৮এপ্রিল অনুষ্ঠিত রাঙামাটিতে আয়োজিত জুম সংস্কৃতি মেলায়। তিনি ১৯৩৭ সালের ১২ এপ্রিল রাঙাামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বেগেনাছড়ি গ্রামে। তাঁর মৃত্যুতে পাাহড়ের মানুষ ভিন্ন ধারার এক নিরলস সংগীত সাধককে হারাল।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত