আগামী ১৬ ও ১৭ অক্টোবর লংগদুর আর্য গিরি বন বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে

Published: 31 Aug 2019   Saturday   

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ডানের আঠারকছড়া করল্যাছড়ি এলাকায় আর্য গিরি বন বিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব আগামী ১৬ ও ১৭ অক্টোবর দুদিন ব্যাপী দ্বিতীয় দানোত্তম কঠিন চীবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।


আর্য গিরি বন বিহার প্রাঙ্গনে দুদিন ব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ১৬ অক্টোবর দুপুর ১টায় বেইন কর্মীদের পঞ্চশীল গ্রহন,৩.১ মিনিটে বেইন ঘর উদ্বোধন, বিকাল ৩.১১টায় চরকায় সূতা কাটা, বিকাল ৫টায় সূতা লাগানো শুরু, সন্ধ্যা ৬টায় সূতা সিদ্ধ ও রংকরণ,সন্ধ্যায় সূতা দেয়া শুরু, ৮.৩০ সূতা কাটানো, রাত ১০টায় সূতা তুম ও নলি করা, ১০.১০ টায় বেইন টানা শুরু, রাত ১টায় বেইন বুনা শুরু কওে সকাল ৯টা পর্ষন্ত।


অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ১৭ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে ৯ টা পর্ষন্ত চীবর সেলাই করা, সকাল ৬টায় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন,৬টা ১০ মিনিটে ভিক্ষ সংঘের প্রাতঃরাশ, সকাল ৯াটয় ভিক্ষু সংঘের মঞ্চে আগমন,৯টা ১৫ মিনিটে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন, ৯টা৩০ মিনিটে পঞ্চশীল দানানুষ্ঠান, সকাল ১১টায় ভিক্ষ সংঘকে পিন্ডদান, দুপুর ১টায় শোভাযাত্রা সহকারে চীবর ও কল্প তরু মঞ্চে আনায়ন, দুপুর ২টায় অতিথিবৃন্দের মঞ্চে আসন গ্রহন, ২টা ২০ মিনিটে নভিক্ষ সংঘের পূজনীয় ভিক্ষু সংঘের মঞ্চে আসন গ্রহন, ২টা ২৫ মিনিটে ধর্মীয় সংগীত পরিবেশন, ২টা ৩০ মিনিটে পঞ্চশীল গ্রহন, ২টা ৩৫ মিনিটে কঠীন চীবর উৎস্বর্গ. ২টা ৫০ মিনিটে বিশ্ব শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা, বিকাল ৩টায় স্বাগত বক্তব্যে, ৩টা ২০ মিনিটে সন্মানিত ব্যক্তিবর্গের বক্তব্যে প্রদান, বিকাল ৩টা ৩০মিনিটে ভিক্ষু সংঘের উদ্দেশ্য শ্রদ্ধাঞ্জলী, বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে ভিক্ষু সংঘের ধর্মদেশনা, ৪টা ৩০ মিনিটে পরম পূজ্য সাধনানন্দ মহাস্থবিরের(বন ভান্তে) ক্যাসেট থেকে ধর্মদেশনা শুনানো, সন্ধ্যা ৬টায় প্রদীপ পূজা।


আর্য গিরি বন বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ অমর রতœ ভিক্ষু জানান, আগামী ১৬ ও ১৭ অক্টোবর দুদিন ব্যাপী কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে সকল উপাসক-উপাসিকা, দায়ক-দায়িকাদের উক্ত পূর্নানুষ্ঠানে অংশ গ্রহনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।


উল্লেখ্য, প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে ভগবান গৌতম বুদ্ধের জীবব্দশায় মহাপূর্নবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত ২৪ ঘন্টার মধ্যে সূতা কাটা শুরু করে কাপড় বয়ন, সেলাই ও রং করাসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করা হয়ে থাকে বলে একে কঠিন চীবর দান হিসেবে অভিহিত করা হয়। এ পদ্ধতিতে দান করলে কায়িক-বাচনিক এবং মানসিক পরিশ্রম অধিকতর ফলদায়ক হয় বলে বৌদ্ধ শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। তাই প্রবর্তিত ঐতিহাসিক নিয়ম অনুসারে এখানে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের বৌদ্ধ ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষ চরকায় তূলা থেকে সূতা বের করে বেইনের (কোমড় তাঁত) মাধ্যমে সেই সূতা দিয়ে কাপড় বুনন ও রং করে চীবর হিসেবে দান করে থাকেন। এ জন্য এ দানকে কঠিন চীবর দান হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত