রাঙামাটিতে যক্ষ্মা রোগ নির্মুলে শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা

Published: 01 Sep 2019   Sunday   

রোববার রাঙামাটিতে যক্ষ্মা রোগ নির্মুল করতে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) আয়োজনে নাটাব রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদের সভাপতিত্বে রাঙ্গামাটি ডায়বেটিস হাসপাতাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন শহীদ তালুকদার।

 

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাটাবের রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ জাহান মজুমদার, রাঙ্গামাটি বক্ষব্যাধি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. সুশোভন দেওয়ান, নাটাবের প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ হেলাল উদ্দিন।

 

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন শহীদ তালুকদার বলেন, দেশের মোট জনংখ্যার ৫০ শতাংশের বেশী ব্যক্তির শরীরে সুপ্ত অবস্থায় কিছু রোগের জীবানু থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে এইসব জীবানু মানুষের শরীরে আক্রান্ত করে থাকে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে রাঙ্গামাটির বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

 

তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও নিদিষ্ট এনজিও ক্লিনিকে ও নাটাবের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও রোগীদের ঔধষসহ চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার বিনামূল্যে প্রদান করছে। বিনামূল্যে এই রোগের চিকিৎসা রয়েছে তা পাড়া মহল্লা ও গ্রামের অনেক মানুষ এই বিষয়টি নিয়ে অবহিত নন। অথচ বিভিন্ন পেশার মানুষ এগিয়ে এলে ব্যাপকভাবে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে খুব কম সময়ের মধ্যে অন্যান্য রোগের মত এই রোগটি নিয়ন্ত্রণ এমনকি নির্মূল করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মাদরাসার সুপারগণ অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সচেতন করতে পারলে তাদের মাধ্যমে তাদের পরিবারসহ আশপাশের পরিবারগুলোর মধ্যে যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজতর হবে।

 

তাই যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করতে সম্মেলিত ভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে। আর সম্মেলিত ভাবে কাজ করতে পারলে যক্ষ্মারোগ নিমূল করা সম্ভব।

 

সভাপতির বক্তব্যে নাটাবের সভাপতি এ কে এম মকছুদ আহমেদ বলেন, যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করে চলেছে। বর্তমানে দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র ও নিদিষ্ট এনজিও ক্লিনিকে ও নাটাবের মাধ্যমে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয় ও রোগীদের ঔধষসহ চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সরকার বিনামূল্যে প্রদান করছে। যক্ষ্মা রোগ দেখা দেয়া মাত্র তার চিকিৎসা গ্রহন করা প্রয়োজন। সচেতন নাগরিক যদি যক্ষ্মা রোগ সর্ম্পকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে তা হলে দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত