স্ত্রী ও পুত্র সন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামী ছাবের আলীকে মৃত্যু দন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালত। বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের জজ রেজা মোঃ আলমগীর হাসান এ রায় দেন।
আদালত এছাড়া এ হত্যাকান্ডে সহযোগীতা করার দায়ে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীর বাবা মোঃ মাহবুব আলী ও মা রেনু আরা বেগম যাবৎ জীবন কারাদন্ডসহ ১০ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ড দেয় দেয় আদালত। এ মামলার চতুর্থ আসামী মো: শাহজাহান (২৪) এর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।
ঘটনার বিবরনে জানা যায় গেল ২০১৬ সালের ২২ মার্চ খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানার বড়পিলাক এলাকায় রাত সাড়ে ৯টা দিকে ঘুমানোর সময় পিতা মোঃ মাহবুব আলী ও মাতা রেনু আরা বেগমের প্রত্যেক্ষ সহযোগীতায় ছাবের আলী তার স্ত্রী মোছাঃ মাজেদা বেগমকে ওড়না পেছিয়ে ও ৬ মাসের শিশু সন্তানকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে।
এঘটনায় মাজেদা বেগমের বাবা মোঃ সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে একদিন পর স্বামী ছাবের আলী, তার বাবা মাহবুব আলী, মা রেনু আরা বেগম ও ভাই শাহজাহানকে আসামী করে গুইমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত দীর্ঘ সময় মামলাটি স্বাক্ষ্য প্রমান পর্যবেক্ষন করে এবং অভিযোগটি সন্দেহতীতভাবে প্রমান হওয়ায় আসামী ছাবের আলীকে মৃত্যু দন্ড আরো ৫০ হাজার টাকা ও তার বাবা মোঃ মাহবুব আলী,মাতা-রেনু আরা বেগমকে যাবৎ জীবন কারাদন্ড এছাড়া ১০ হাজার টাকা করে অর্থ দন্ড প্রদান করেন।
মামলা চলাকালীন রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১৬জনের স্বাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ বছরের মাথায় আদালত এ রায় ঘোষনা করেন।
পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট বিধান কানুনগো রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, আর যাতে কেউ কোন বাবা মার সহযোগীতায় কোন স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করতে সাহজ না করে। এ মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. মহি উদ্দিন কবির।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.