পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে মহালছড়ির একই পরিবারের তিন ভাইবোন

Published: 05 Sep 2019   Thursday   

খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়িতে শারিরীক প্রতিবন্ধি হয়ে যাচ্ছে একই পরিবারের তিন ভাইবোন। তিন ভাইবোনের মধ্যে দুই ভাইবোন শারিরীকি প্রতিবন্ধি হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছে। ছোট মেয়েটিও বড় হওয়ার সাথে সাথে বিকলাঙ্গ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। 

 

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার কাটিং টিলা নামক গ্রামে অত্যন্ত গরীব পরিবারের পিতৃহীন বিকলাঙ্গ ৩ সন্তানকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে থেকে বসবাস করছেন মরিয়ম বেগম। বড় ছেলে রনি হোসেন(১৯) ইতিমধ্যেই বিকলাঙ্গ হয়ে পঙ্গু হয়ে গেছে। সে কোনো রকম খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটে। হাঁটতে গেলে দুই পা এক সাথে জড়িয়ে যায়। রনি হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার কোমড় থেকে নিচ পর্যন্ত অবশ হয়ে গেছে। হাঁটতে খুবই কষ্ট হয়। বাকি দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার(১৪), সুমাইয়া আক্তার(৫) তারা ও পঙ্গু হওয়ার পথে, ধীরে ধীরে বড় ভাইয়ের মতো বিকলাঙ্গ হওয়ার লক্ষন দেখা যাচ্ছে। পিতৃহীন এ তিন সন্তানের দেখাশোনা ও ভরনপোষণ করছেন একমাত্র মা মরিয়ম বেগম।


মরিয়ম বেগম বলেন, তিন সন্তানকে রেখে দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তাঁর স্বামী ফুল মিয়া মারা যান। ছেলেমেয়েরা জন্ম থেকে এই রোগ ছিলো না, বড় হতে হতে বিকলাঙ্গ হওয়ার লক্ষণ গুলো দেখা যায় বলে জানান।


তিনি আরো বলেন, সময় মতো চিকিৎসা পেলে হয়তো তার ছেলেমেয়েদের পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো না। যেখানে তিন সন্তানকে দু’মুটো খাবার যোগাড় করা কঠিন সেখানে সন্তানদের চিকিৎসা করানো মোটেও সম্ভব নয়। বর্তমানে মরিয়ম বেগম এর একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই ভরসা। অন্যদিকে তার ছেলে মেয়েরা এখনো প্রতিবন্ধি ভাতা পাচ্ছেনা। হয়তো প্রতিবন্ধি ভাতা পেলে কিছু একটা করা যেতো। এই জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।


কাটিং টিলা গ্রামের কামাল হোসেন বলেন, তারা যদি সঠিক সময়ে কোন সহযোগিতা না পায় তাহলে পরিবারটি তিলে তিলে নি:শেষ হয়ে যাবে।


এই বিষয়ে ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নিহার কান্তি চাকমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে তিনি প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।


মাইসছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সাজাই মারমা বলেন, আগামী বাজেটে তাদেরকে প্রতিবন্ধী হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করা হবে।


এই বিষয়ে মহালছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা.মুহাম্মদ মিজবাহুল আলম বলেন, উনি রোগীকে দেখেছেন প্রাথমিকভাবে তিনি এই রোগটাকে বংশগত রোগ বলে ধারণা করছেন। মহালছড়িতে এ রোগের চিকিৎসা নয় বলে তিনি রোগীদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত