রাঙামাটিতে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগ বিষয়ক কর্মশালা

Published: 26 Sep 2019   Thursday   

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তন যোগাযোগের মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সভা কক্ষে কর্মশালায় প্রধান হিসেবে উপস্থিত অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় গস্ট অব অনার হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক(অতিরিক্ত সচিব) দীপক চক্রবর্তী এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক এবং রাঙামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) শারমিন আলম, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দাউদ হোসেন চৌধুরী, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম ডিভিশনের চীফ মাধুরী ব্যানার্জী, ইউনিসেফ চট্টগ্রাম ডিভিশনের অফিসার গিতা রানী দাশ, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বিলাইছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ জানে আলম। এসময় জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি উপজেলার জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।


কর্মশালায় মোট ১৫টি অগ্রাধিকার জীবন রক্ষাকারী আচরণ ও চর্চা নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা বিশদভাবে আলোচনা করেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, সমতলের চাইতে পার্বত্য জেলাগুলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ’সহ বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। দূর্গম এলাকার মানুষ স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে মা ও শিশু মুত্যু, বাল্য বিবাহ, শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশে যতœ, সামাজিক আচার আচরণ’সহ বিভিন্ন বিষয়ে অসচেতন। তাদের সচেতন করতে তিনি তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তাসহ সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো সনাতন পদ্ধতিতে ধাত্রী দিয়ে বাচ্চা প্রসব ব্যবস্থা প্রচলিত রয়েছে। যার ফলে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি থেকে যায়।


তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গর্ভবতী মায়েদের সুষ্ঠভাবে প্রসবের জন্য আলাদা কক্ষ, ঔষধপত্র, পরিপূর্ণ সরঞ্জাম ও চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছেন। অতি ঝুকিপূর্ণ হলে রোগীদের অন্যত্র রেফারের জন্য এম্বুলেন্স দিয়েছেন। সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এসব সুযোগ সুবিধার তথ্যগুলো দুর্গম এলাকার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

কর্মশালায় গেস্ট অব অনারের বক্তব্যে দীপক চক্রবর্তী বলেন, আমরা আগামী প্রজন্মের কাছে ঋণী। কারণ আগামীতে এই প্রজন্মের শিশুরাই আমাদের দেশ পরিচালনা করবে। তাই তাদের জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী আমাদের এখন থেকেই করে দিতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি ইউনিসেফ এ দেশের শিশুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কর্মকান্ডগুলো সতিই প্রসংসনীয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার জন্মদিনটিকে জাতীয় শিশু দিবস ঘোষণা করে জাঁকজমকভাবে পালন করছে। এতেই বুঝা যায় বর্তমান সরকার শিশুবান্ধব সরকার।


তিনি আরো বলেন, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের আরো গতিশীল হতে হবে। বর্তমান সরকার স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, প্রত্যন্ত এলাকায় গণসচেতনতা সৃষ্টি করে সামাজিক ও আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশু, নারীসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রান্তিক এলাকায় সরকারের কার্যক্রমগুলোকে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদক/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত