পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়িত না হলে পাহাড়ে নারীদের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতার আলোকে পাহাড়ের মানুষ একটা অনিরাপদ জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে। এখানকার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অনুকুলে নয়। তাই এরকম পরিস্থিতিতে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে একটা বড় বাধা। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথ বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ের নারীদের উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পাবে।
মঙ্গলবার রাঙামাটি পর্যটন হল রুমে আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য আমাদের ভবিষ্যত শীর্ষক প্রকল্পের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে নারী প্রগতি সংঘের প্রধান রকেয়া কবিরের সভাপতিত্বে গেষ্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের অ্যাম্বাস্যাডর ও হেড অব ডেলিগেশন টু বাংলাদেশ রেনসি তিরাইংক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, চাকমা সার্কেল চীফ দেবাশীষ রায়, সীমাবির উপ-পরিচালক আলবার্ট কলমপ ও সীমাবির কর্মসূচি ব্যবস্থাপক জিমানা ডোরান্ট প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, সরকার-বেসরারী সংস্থার কর্মকর্তারা অংশ নেন। আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রকল্পের উদ্ধোধন করেন।
সন্তু লারমা আরো বলেন, সমতলে হোক বা পাহাড়ে হোক নারী সমাজ অবহেলিত ও নির্যাতিত, তাঁরা পুরুষ শাসিত সমাজে জাতাকলে ঘেরা, এটা হলো বাস্তবতা। পার্বত্য অঞ্চলে এই বাস্তবতা থেকে বেড়িয়ে এসে জীবনকে নিরাপদ, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়েছে। কিন্তু কার্যত সেই চুক্তি বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
চাকমা সার্কেল প্রধান রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, পাহাড়ে নারীদের ক্ষতায়ন বৃদ্ধি করতে হলে, প্রথাগত প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভূমিকা রাখতে হবে। এতে আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে হবে।
উল্লেখ্য, নেদারল্যান্ড ভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা সীমাবির অর্থায়নে নারী প্রগতি সংঘের সহযোগিতায় চার বছরের জন্য তিন পার্বত্য জেলার ১০টি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের কিশোরী ও যুব নারীদের ক্ষমতায়ন ও সচেতনা বৃদ্ধিতে কাজ করবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.