রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২তম বর্ষপূতি উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে জুরাছড়ি উপজেলার সর্বস্তরের জনসাধারন ও জোনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জুরাছড়ি জোন অধিনায়ক লেপ্টেনেন কর্ণেল মোঃ তানভীর হোসেন। আলোচনা সভায় ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমার সঞ্চালনায় কুসুমছড়ি মৌজার হেডম্যান মায়া নন্দ দেওয়ানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, দুমদুম্যা ইউপি চেয়ারম্যান শান্তি রাজ চাকমাসহ সেনা বাহিনীর পদস্থ্য কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জোন অধিনায়ক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে যে পরিমান উন্নয়ন কাজ হয়েছে শান্তি চুক্তির আগে তা হয়নি। শান্তি চুক্তিতে বিভিন্ন পর্যায় প্রায় ৭২টি বিষয় ছিল। যা ইতিমধ্যে ৪৮টি বিষয় সম্পন্য করা হয়েছে। ১৫টি বিষয় অর্ধেকের মত কিংবা আংশিক বাস্তবায়ন হয়েছে। ৯টি বিষয় বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির ফলে বর্তমান সরকার পার্বত্য এলাকাবাসীর জন্য আলাদা পার্বত্য মন্ত্রনালয় গঠন করেছেন। যাতে করে পাহাড়ের যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য এই মন্ত্রনায় কাজ করতে পারে।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা পার্বত্য শান্তি চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারা গুলো যথাযথ ভেবে পুর্নাঙ্গ বাস্তবায়নে সরকারের কাছে দাবী জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা পার্বত্য মন্ত্রনালয়, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য অঞ্চলিক পরিষদের সমন্বয়হীনতার কারনে উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ উন্নয়নে এগিয়ে যেতে পারেন না বলে অভিযোগ করেন।
একমাত্র বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সার্বিক সহযোগীতায় পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। সুতরাং এই চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সার্বিক সহযোগীতার অনুরোধ জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.