রাঙামাটিতে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্ত

Published: 19 Dec 2019   Thursday   

বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্প (৩য় পর্যায়) সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কৃষক মাঠ স্কুল বিষয়ে কৃষক সহায়তাকারীদের ৯দিন মৌসুমব্যাপী প্রশিক্ষণ (৪র্থ ব্যাচ) এর কর্মশালা সমাপ্ত হয়েছে।

 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্ট্রেনদেনিং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট ইন সিএইচটি (এসআইডি-সিএইচটি)-ইউএনডিপি’র বাস্তবাায়নে এবং ড্যানিডা’র অর্থায়নে জেলা প্রাণীসম্পদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা। 

 

জেলা পরিষদের জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. বরুন কুমার দত্ত, এসআইডি-সিএইচটি- ইউএনডিপি জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ্বর্য চাকমা, জেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. দেবরাজ চাকমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রকল্পের জেলা কর্মকর্তা সুকিরন চাকমা।

 

পরে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৩০জন অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দরা।

 

সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, কৃষি এ দেশের জনমানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদানের প্রধানতম এবং অন্যতম উৎস। তাই কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে বর্তমান সরকার সর্বদাই সহায়তা করে যাচ্ছে। বক্তরা বলেন, পূর্বে ৭১ সনের চিত্র পর্যবেক্ষন করলে দেখা যায়, দেশে তখনকার জনসংখ্যা  ৭কোটি থাকলেও খাদ্য অভাব ছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময় দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন খাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারের কৃষি ভাবনার এক বাস্তব  প্রতিফলন। কারণ বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। 

 

বক্তরা অংশগ্রহণকারী প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে পূর্বে যেসকল ফসল ও ফল হতো কৃষকদের অভিজ্ঞতা ও আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে প্রায় অর্ধেক নষ্ট হয়ে যেতো। বর্তমানে কৃষকরা এখন অনেক সচেতন হওয়ার ফলে সু-স্বাধের রসালো ফল, ফসল, গবাদী পশু ও মৎস্য উৎপাদনে অনেকটা সক্ষম হয়েছে। এখানকার ফল, মৎস্য ও গবাদি পশু এখন নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরের জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। আর এগুলো সম্ভব হয়েছে কৃষক ও খামারীরা এ ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহনের ফলে। বক্তরা আরো বলেন,  প্রশিক্ষণ হতে লব্ধ জ্ঞানগুলো  নিজ নিজ গ্রামে কৃষি উন্নয়নে প্রয়োগ করবেন এবং অন্য কৃষক ও খামারিদের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন নিজেদের জ্ঞান আরো সঞ্চারিত হবে অন্যদিকে এ অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত