রাঙামাটিতে স্কুল ফিডিং এর প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে শিশুদের মাঝে খেজুর বিতরণ

Published: 27 Jan 2020   Monday   

রাঙামাটিতে স্কুল ফিডিং এর প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে সোমবার সাপছড়ি ইউনিয়নের বড় পাড়া কেন্দ্রে শিশুদের মাঝে কাতার সরকারের দেয়া খেজুর বিতরণ করা হয়েছে।


বড় পাড়া কেন্দ্র প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাস্টেনেবল সোসাল সার্ভিস এর সহায়তায় ও আশিকা ডেভেপ্টমেন্ট এসোসিটের উদ্যোগে খেজুর বিতরনের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশীদ। রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জহরা উপমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়াল্ড ফুড প্রোগ্রামের রাঙামাটির কর্মকর্তা ইলোরা চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাস্টেনেবল সোসাল সার্ভিস এর পরিচালক জানে আলম, জেলা মহিলা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হোসনে আরা বেগম, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাস্টেনেবল সোসাল সার্ভিস এর উপ-পরিচালক মঞ্জু মনস ত্রিপুরা,সাপছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মৃনাল কান্তি চাকমা।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালিত সাপছড়ি ইউনিয়নের বড় পাড়া কেন্দ্রের শিশুদের মাঝে কাতার সরকারের দেয়া খেজুর বিতরণ করেন। এর আগে জেলা প্রসাশক বড় পাড়া কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।


প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, স্কুল ফিডিং এর উদ্দেশ্য হচ্ছে আগামী ও বর্তমান প্রজন্মকে মানসম্মত শিক্ষা দেয়া। যাতে টাকার অভাবে বই ও ঝড়ে না পড়ে তার জন্য সরকার সব কিছুই চালাচ্ছে। যাতে প্রত্যেক বাচ্চা লেখাপড়া আওতায় আসতে পারে।


তিনি আরো বলেন, পাড়া কেন্দ্র থেকে বাচ্চাদের লেখাপড়া শুরু হয়। ছোট বেলা থেকে তারা পড়ালেখা করে কাংখিত পর্যায়ে যেতে পারে।


তিনি বলেন, আমাদের দেশ এখন খাদ্য স্বয়ং সম্পন্ন। তবে বাচ্চারা পুষ্টির দিক দিয়ে একটু পিছিয়ে রয়েছে। পুষ্টিকর খাদ্য তাদের দিতে হবে। দোকানের বিভিন্ন মূখরোচক খাবার না দিয়ে তাদের দেশীয় ফলমূল কাওয়াতে হবে। বাচ্চাদের মেধায় উন্নতি করতে হলে গরু দুধ খাওয়াতে হবে। তবে এই খেজুরের মধ্যে প্রচুর খনিজ গুনের খাদ্য রয়েছে।


জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশে এগিয়ে যাবে। তাই এই লক্ষ্যে পৌছাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।


তিনি বলেন, আশিকা ডেভেপ্টমেন্ট এসোসিট রাঙামাটি জেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজসহ সমাজের বিভিন্ন মহৎ কাজ করে যাচ্ছে। এ জন্য আশিকা ডেভেপ্টমেন্ট এসোসিটকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 

উল্লেখ্য, তিন পার্বত্য জেলায় স্কুল ফিডিং এর প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে কাতার সরকার ১৫৮ মেট্রিক টন খেজুর বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে রাঙামাটি জেলায় ১৪শ ৯২ পাড়া কেন্দ্রের প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার শিশুদের ২৪ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন খেজুর বিতরণ করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত