দেশের উন্নয়ন ও সম্মৃদ্ধির লক্ষে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে --স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

Published: 06 Feb 2020   Thursday   

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম দেশের অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সম্মৃদ্ধির লক্ষে সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে একসময় অস্থিতিশীল পরিস্থিতিসহ নানান সমস্যা বিরাজ করেছিলো। ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে তার সমস্যার সমাধান হয়েছে। এতে একমাত্র  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও তার স্বদিচ্ছার কারণে কোন রক্তক্ষীয় সংঘর্ষ ছাড়াই পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজকে এখানে সবমিলিয়ে একটা স্বস্তির জায়গায় এসেছে। তবে কিছু কিছু সমস্যা থাকবে আর কিছু সমস্যার সমাধান হবে। আর কিছু সমস্যা আগামী দিনে উদ্ভাবন হবে। এজন্য সবাইকে এক সাথে বসে সমস্যার সমাধান করতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে তিন পার্বত্য জেলার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌর সভার মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী  মোঃ তাজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

 

রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী  ইনষ্টিটিউট মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন  ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার। স্বাগত বক্তব্যে দেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ। 

 

মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে দেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজেরী চৌধুরী, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কেশৈ হ্লা, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান একেএম জাহাঙ্গীর, জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সুরেশ চাকমা, দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কাশেম, বান্দরবান পৌর মেয়র বেবী ইসলাম, কাপ্তাই ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ, ১নং মানিক ছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুর রহমান প্রমুখ।

 

সভায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী ২৮টি বিভাগ হস্তান্তরিত হলেও পরিষদ বিভাগগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না। পাহাড়ে পর্যটন বিভাগটি হস্তান্তর করা হলেও জেলা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া যেখাসেখানে পর্যটন গড়ে উঠছে।  তাই মন্ত্রনালয় থেকে সঠিক সঠিক নির্দেশনা  দেয়া দরকার।

 

সভায় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়ররা  বাৎসকি খাতে আরো বেশী বরাদ্দ, আয় বর্ধকমূলল বরাদ্দ দেয়ার দাবীর পাশাপাশি  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা পরিষদ চেয়ারম্যানকে না জানিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষমতা ব্যবহারের অভিযোগসহ পরিষদের বিভিন্ন দাবী উত্থাপন করেন।

 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলকে দ্রুত গতিতে উন্নয়ন করতে হলে সমতলের মতো ভাবলে চলবে না। এ অঞ্চলকে বিশেষ এলাকা হিসেবে থোক বরাদ্দ দিতে হবে।

 

মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আরো জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন অনেক অনেক এগিয়ে গেছে, আরো এগিয়ে যাবে। দেশ উন্নত হলে আমরা সবাই উপরকার পাবো, গ্রামের গরীবরাও উপকার পাবে। তাই  যে সব প্রতিষ্ঠান রয়েছে  আমাদের এক সাথে কাজ হবে। উন্নত দেশ গড়তে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে।

 

তিনি পাহাড়ে নিরাপদ পানি ব্যবস্থার জন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে অনেক স্থানে পানি রয়েছে। সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করা যায় তা খতিয়ে দেখতে হবে।   তিন পার্বত্য জেলার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ  চেয়ারম্যান ও পৌর সভার  মেয়রদের দাবী-দাওয়াগুলো আইনগত দিক দেখে ও একটু সময় নিয়ে তার সমস্যা সমাধানের অশ্বস্ত করেন।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত