করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সতর্কতা-বৃষ কেতু চাকমা।

Published: 18 Mar 2020   Wednesday   

করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক নয়, প্রয়োজন সতর্কতা ও সচেতনতা বলে মন্তব্য করেছেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা।

 

 তিনি বলেন, দেশে ও জেলায় বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং প্রবাসীরা প্রবেশ করছে। তাদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ট্রানজিট হয়ে করোনা আক্রান্ত দেশ থেকে কেউ আসছে কিনা তা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে এবং এ ধরনের কোন বিষয় থাকলে তা সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য ও প্রশাসনকে অবগত করার আহ্বান জানান তিনি।

 

বুধবার জেলা পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। 

 

পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ এর পরিচালনায় জেলা পরিষদের এনেক্স ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, পরিষদ সদস্য ত্রিদীব কান্তি দাশ, পরিষদ সদস্য সাধন মনি চাকমা, পরিষদ সদস্য থোয়াই চিং মারমা, পরিষদ সদস্য স্মৃতি বিকাশ ত্রিপুরা, পরিষদ সদস্য মনোয়ারা আক্তার জাহান, পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা’সহ হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

সভায় পরিষদ চেয়ারম্যান  আরো বলেন, সারা দেশের ন্যায় এদেশে করোনা ভাইরাস নিয়ে আতংক আছে বেশ, কিন্তু সতর্কতা কম। এটা ভয়ানক বিষয়। তিনি বলেন, আমাদের আরও অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। সতর্ক আর সচেতন হলে আমরা এ ভাইরাসের আক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারবো। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে সরকার দেশে যাতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্কতা জারী করেছে। সরকারের পদক্ষেপের পাশাপাশি আমাদের সকলকে আরো বেশী দায়িত্বশীল ও সচেতন হতে হবে। 

 

সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা বলেন, করোনার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হলে আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। সাবধানতার জন্য দুই হাতে মুখ চেপে হাঁচি-কাশি ও সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে। এটাই মূলত করোনা থেকে সুরক্ষার মন্ত্র। তিনি  আরো বলেন, বর্তমানে এ পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে ৬জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তারা বর্তমানে ভালো আছেন। এ মুহূর্তে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।

 

জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিনয় চাকমা ও শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা স্মৃতি চাকমা বলেন, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে ১৮ হতে ৩১ মার্চ ২০২০খ্রি: পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে পরিকল্পিত অনুষ্ঠানগুলো পর্যায়ক্রমে করা হবে।

 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার স্বরূপ জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ২৬টি করে টিউবওয়েল স্থাপনের লক্ষ্যে বরাদ্দ পাওয়া গেছে। জায়গা নির্ধারণ ও মাটি পরীক্ষা নিরীক্ষার পর  টিউবওয়েল/রিংওয়েল স্থাপন করা হবে।

 

সমাজসেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, সামাজিক বেষ্টনির আওতায় সমাজসেবা কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী’সহ বিভিন্ন ভাতা শীঘ্রই তাদের একাউন্টে প্রেরণ করা হবে।

 

হর্টিকালচার সেন্টার বালুখালী, বনরূপা, নানিয়ারচর, বালুখালী, লংগদু, আসামবস্তী ও কাপ্তাইয়ের উদ্যান তত্ত্ববিদরা জানান, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নার্সারিতে বিভিন্ন প্রজাতি গাছের চারাকলাম উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত