করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ সতর্কতায় রাঙামাটিতে বিদেশ ফেরত ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। তবে তারা কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। রাঙামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, এদিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জেলা প্রশাসন সচেতনামূলক অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার শহরের বিভিন্ন স্থানে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণসহ জরুরী সভা করেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা জানান, রাঙামাটিতে বিদেশ ফেরত ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তবে তারা কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। যাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, করোনা ভাইসরাস প্রতিরোধ মোকাবেলায় রাঙামাটি সরকারি কলেজের নতুন একাডেমিক ভবনে ৫০ শয্যা ও চম্পক নগরস্থ জেলা পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা কেন্দ্রে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে।
এদিকে বুধবার সকালের দিকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনামূলক অংশ হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন বাজারে আসা লোকজনদের মাঝে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেছেন। এছাড়া বিকালে জেলা প্রশাসন কার্যালয় সন্মেলন কক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এক জরুরী বৈঠক ডাকা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা ছাড়াও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্ল্যাহসহ প্রশাসনিক, বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা, গণ্যমান্য ব্যক্তি, সমাজকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বলা হয়, ভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ করে বিদেশ থেকে যারা আসছেন, তাদেরকে নজরে আনতে হবে। তাদের সঠিক তথ্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে জানাতে হবে। বিদেশীদের প্রবেশে নিষোধাজ্ঞা জারি দরকার। পর্যটকদের নিষিদ্ধ আগমণও বন্ধ করে দিতে হবে। রাঙামাটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৪৩ জন ফেরত এসেছেন বলে জানানো হয়েছে সভায়। তাদের সবাইকে নজরে আনতে জোর দেয়া হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আতংকের কারণ নেই। তবে এ নিয়ে যাতে গুজব ছড়াতে না পারে, তা প্রতিরোধ করতে হবে। জনগণ সবাইকে সচেতন হতে হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে ফিরে আসা প্রবাসীদের সঠিক তথ্য দিয়ে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। রোগ নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ থাকলে জরুরিভাবে হাসপাতালের হটলাইনে যেতে হবে। যেসব নিয়মনীতি রয়েছে, সেগুলো যথারীতি পালন করে সচেতন থাকতে হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.