মানিকছড়িতে পিতা কর্তৃক জমজ কন্যা ও প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকা ধর্ষক আটক

Published: 06 Dec 2020   Sunday   

মানিকছড়িতে মা হারা জমজ শিশু কন্যা নিজ পিতা কর্তৃক ধর্ষিত  ও প্রেমিক কর্তৃক প্রেমিকা ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক পৃথক মামলায়দুই  ধর্ষককে আটক করেছে পুলিশ।

 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর  গুচ্ছগ্রামের  মো. নুর আলম ওরপে মোঃ আলম এর স্ত্রী  ২/৩ বছর আগে  ৪ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তান রেখেবিষপানে আত্মহত্যা করেন। এর পর  ঘরে থাকা ২ জমজ কন্যা ও ১ শিশু পুত্র নিয়ে মোঃ আলম বসবাস করছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে মোঃ আলম তার জমজ  কন্যাদের  বিভিন্ন সময় ঘওে জোরপূর্বক ধর্ষণ করত। গত ৪ ডিসেম্বর  রাতে ওই লম্পট পিতা মোঃ আলম এমন ঘৃণিত কাজ করার পর মেয়েরা বিষয়টি নানী মোছাঃ ফাতেমা আক্তার (৫৫)কে খুলে বলেন।

 

সকালে নানী বিষয়টি সমাজপতিদের অবহিত করলে এই নিন্দনীয় কাজের ধিক্কার ও তোলপাড় শুরু হয়। পরে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন পুলিশ পাঠিয়ে ধর্ষক ও লম্পট মোঃ নুর আলম ওরফে মোঃ আলম (৪৯)কে আটক করেন এবং রাতে ধর্ষিত শিশু কন্যাদ্বয়ের নানীকে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১) ধারায় মামলা রেকর্ড করেন। মামলা নং ২,তারিখঃ-৫.১২.২০২০খ্রি.।

 

৬ ডিসেম্বর সকালে আসামী মোঃ নুর আলমকে আদালতে এবং ধর্ষিত শিশু দুইটিকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি প্রেরণ করা হয়।

 

এদিকে উপজেলার বাটনাতলী ইউপি’র সাধুপাড়ার মানিক চন্দ্র ত্রিপুরার মেয়ের (২০) সাথে বাঞ্চারাম পাড়ার মোহাম্মদ ইউচুপ মিয়ার ছেলে মোঃ ইমাম হাসান (২০) এরর দীর্ঘদিন প্রেমের সর্ম্পকের সূত্রে গত ৩০ নভেম্বর  রাতে দুইজন পালিয়ে গিয়ে যায়। পরে মানিক চন্দ্র ত্রিপুরার কিশোরী মেয়ে প্রেমিক মাঃ ইমাম হাসান কর্তৃক ধর্ষিত হয়। ঘটনা জানাজানির পর সু-কৌশলে মেয়ে ও ছেলেকে ৪ ডিসেম্বর এলাকায় আনলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ প্রেমিক ধর্ষক মোঃ ইমাম হাসান(২০) কে ৫ ডিসেম্বর থানায় নিয়ে আসলে দিনভর বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা ব্যর্থ হলে রাতে মেয়ে বাদী হয়ে থানায় ধর্ষক মোঃ ইমাম হাসান(২০) এর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১) ধারায় মামলা রেকর্ড করা হয়। মামলা নং-১,তারিখঃ-৫.১২.২০২০ খ্রি.। পরে আসামী ধর্ষক মোঃ ইমাম হাসানকে আদালতে এবং ধর্ষিত কিশোরীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য খাগড়াছড়ি প্রেরণ করা হয়।

 

অফিসার ইনচার্জ আমির হোসেন ঘটনাদ্বয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুইটি ধর্ষণ ঘটনার ধর্ষকদেরকে দ্রæত সময়ে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।  পুলিশের এমন তৎপরতায় অপরাধীরা বুঝবে যে কোন অপরাধ করলে কারো জন্য ছাড় নেই।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত