সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করবে কি, করবে না জুম্মগণ জানতে চাই-সন্তু লারমা

Published: 20 May 2022   Friday   

পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) অভিযোগ করে বলেন,সরকার ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করলেও সেই চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যায়নি। বরং চুক্তি বাস্তবায়ন নামে বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে নানাভবে বাধাগ্রস্ত করে চুক্তিকে এমন একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যাতে পাহাড়ের জুম্ম জনগন একদিন যে চুক্তির স্বাক্ষর করেছিল সেটা যাতে তারা ভুলে যায়।


তিনি আরো বলেন, সরকার পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করবে কি করবে না তার আশায় বসে থেকে লাভ নেই। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দের যে ঐতিহাসিক দায়িত্ব তা কাঁধে নিয়ে আগামী দিনের আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোর করার জন্য পাহাড়ী ছাত্রদের এগিয়ে যেতে।


তিনি অভিযোগ করে বলেন,পার্বত্য চুক্তির ২৫ বছর অতিবহিত হতে চলেছে। আর কিছু দিন পর ২৫ বছর পূর্ন হবে। এই ২৫টি বছরের মধ্যও সরকার অনুভব করেনি যে পার্বত্যাঞ্চল থেকে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে ঘোষনা  ও অপারেশন দানাবলের মতো অপরেশন উত্তোরণ ঘোষনা করেছিল তা প্রত্যাহার করার। বরংশ সরকার ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে জাতিগত শোষন-নিপীড়ন-বঞ্চনার তার মাত্রা পরিধি বাড়িয়ে সর্ব দিক দিয়ে সম্প্রসারিত করেছিলো। আমরা এমন একটা অবস্থায় থাকতে বাধ্য হচ্ছি যে, যেখানে হাত-পা থাকলেও, দৃষ্টিশক্তি থাকলেও, বুদ্ধি বিবেচনা থাকলেও, জন্মভূমির প্রতি এবং বসতবাড়ীর প্রতি আমাদের মায়া-মমতা থাকলেও আমরা আজকে সেটা কোনোভাবেই প্রকাশ করতে পারছি না।

 

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন সরকার কি করতে চাই আসলে কি চুক্তি বাস্তবায়ন করবে কি, কি  করবে না আজকে জুম্ম জনগণ জানতে চাই। তিনি ব্যক্তিগতভাবে সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চান সরকার যেভাবে শাসন, উন্নয়ন ও আইশৃংখলার নামে সেভাবেই আব্যাহতভাবে রাখতে চাই।

শুক্রবার রাঙামাটিতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ৩৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে উপলক্ষে আয়োজিত ছাত্র-জনসাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

রাঙামাটি জিমনেশিয়াম মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সমাবেশে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুমন মারমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. জবাইদা নাসরিন কণা, বিশিষ্ট সাংবাদিক নজরুল কবীর, বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি ও কবি শিশির চাকমা, বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনিস ম্যাথিউ চিরান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি রায়হান উদ্দীন প্রমুখ।  পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাধারন সম্পাদক নিপুণ ত্রিপুরার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে রাখেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক জগদীশ চাকমা।

 

সমাবেশ শেষে  একটি বিক্ষোভ-মিছিল জিমনেশিয়াম মাঠ থেকে শহরের বনরুপা এলাকা পর্ষন্ত গিয়ে পুনরায় জিমনেশিয়াম মাঠে গিয়ে শেষ হয়।

 

এর আগে জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) । বেলুন উড়িয়ে সমাবেশের উদ্বোধন করেন শিক্ষাবিদ মংসানু চৌধুরী।    

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা আরো বলেন, পাকিস্তান শাসনামলে যে বাস্তবতা, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও একই বাস্তবতা। পাকিস্তান সরকার ব্রিটিশ প্রণীত ১৯০০ সালের শাসনবিধিকে খর্ব করে, কাপ্তাই বাঁধের মধ্য দিয়ে জুম্ম জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার কাজকে সম্প্রসারণ করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শাসনামলে ১৯৭২ সালের সংবিধানে পার্বত্য অঞ্চলের জুম্ম জনগণের স্বতন্ত্র সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে বলা হয় সাংবিধানিকভাবে তারা বাঙালি। বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথমে অপারেশন দাবানল এবং ২০০১ সালে অপারেশন উত্তোরণ ঘোষণা দেয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

 

তিনি  বলেন, পার্বত্য চুক্তির বয়স আজ ২৫ বছর। তারও আগে থেকে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের লড়াইয়ের সূচনা। তারও আগে ভারত বিভক্তি সময় এবং কাপ্তাই বাঁধের সময়ও পাহাড়ী ছাত্ররা আন্দোলন করেছিল। এখনো পর্যন্ত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ নিজেদের জন্মভূমি রা, নিজেদের বসত-ভিটা রার আন্দোলন করে যাচ্ছে। ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতৃবৃন্দ আরো গভীরভাবে ভাববে এবং এই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে  যাবে।

 

এই আদিবাসী নেতা অভিযোগ করে বলেন, পাহাড়ের বুকে উন্নয়নের নামে অনেক কিছুই হচ্ছে। সরকার কত কথায় বলে থাকেন। এখানে পার্বত্যাঞ্চলের জুম্ম জনগণের স্বাধিকার অধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করে এখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড নামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে। সেটা গঠিত হয়েছিল কাউন্টার ইনসার্জেন্সির জন্য। যে উন্নয়নের গঠনের দিক ছিল পার্বত্যাঞ্চলের সমস্যাকে অর্থনৈতিকভাবে সমাধানের একটা দিক ছিল। চুক্তির পরেও পার্বত্যাঞ্চলের সুধী সমাবেশ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডকে বিলুপ্ত করে অথবা নতুন করে আইন প্রনয়ন করা। কিন্তু এমন একটা আইন করলো যে আইন পার্বত্য চুক্তি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের আইনকে খর্ব ও চ্যালেঞ্জ করা হলো। আজকে সেই উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে কতই না বাহারি রঙের উন্নয়ন দেখি। অথচ উন্নয়ন বোর্ডের মূল কাজ হচ্ছে ইসলামিক সম্প্রসারণবাদকে সম্প্রসারণ ও উজ্জীবিত করার জন্য রাখা হয়েছে। উন্নয়ন  বোর্ডের নামে অনেক অনেক উন্নয়নে টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। কিন্তু  পার্বত্যাঞ্চলের দিকে তাকায় সেই উন্নয়ন কোথায়। আজকে পার্বত্যাঞ্চল বুকে পর্যটন, কৃষি, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ ইত্যাদি নামে বাহারী  নামে বিজ্ঞিিপত ও তালিকা প্রকাশিত হতে দেখছি। কিন্তু আসলে পার্বত্যাঞ্চলে উন্নয়ন হচ্ছে না। উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হলো সুষ্ঠ প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও সুষ্ঠ আইন-শৃংখলার ব্যবস্থাপনা। বিগত ৫১ বছরে দেখি পার্বত্য্ঞ্চালে সেনাবাহিনীর এক ধরনের সেনা কর্তৃত্ব ও উগ্র বাঙালী জাতীয়তাবাদী  এবং ইসলামিক সম্প্রসারণবাদী চিন্তাধারার নেতৃত্ব  দেখা যায় শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে।  প্রশাসন ও আইন শৃংখলার বিধান না করে সরকার কিভাবে উন্নয়নের কথা বলে থাকে।

 

সন্তু লারমা বলেন, কাপ্তাই বাঁধের সময়ও পাহাড়ের জুম্ম ছাত্র সমাজ এম.এন লারমার নেতৃত্বে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। কিন্তু সেসময়ের ঘুনে ধরা সামন্ত নেতৃত্বের কারণে সেই প্রতিবাদ সফল হতে পারেনি। তারই পরে পাহাড়ী ছাত্র সমিতির নেতৃত্বে নতুন করে একটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব গড়ে উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে ১৯৮৯ সালের লংগদু গণহত্যার ঘটনার প্রতিবাদে পাহাড়ের যে ছাত্র-যুব সমাজকে সংঘবদ্ধ করেছিল তারই ফলে যে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জন্ম হয় তার ৩৩ বছরের আন্দোলনের ইতিহাসকে আজকে স্মরণ করতেই হবে।তিনি সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন ও চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আবারো একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষনার দাবী জানান। পাশাপাশি তিনি তিনি ছাত্র, যুব সমাজকে পাহাড়ের বুকে আত্ননিয়ন্ত্রাধিকার ও পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে আরো অধিকতর সামিল হওয়ার আহ্বান জানান।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. জোবাইদা নাসরীন স্মৃতিচারণ করে বলেন,তিনি আজকে যে এক নারী তার পেছনে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর নানা অবদান জড়িয়ে আছে। তার জীবন, জীবনের ঔদার্য, জীবনের মাহাত্ম্য আমি পাহাড়ের মানুষের কাছ থেকে শিখেছি।"

 

তিনি আরো বলেন, "মতাসীন দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যারা বলে বেড়ায়, এদেশে আদিবাসী নেই তাদের এই অঞ্চলে জায়গা দিতে নেই। আপনাদেরও নেতা চিনতে হবে। যারা আপনাদের নিপীড়নের প্রতিবাদ করবে না তাদের সঙ্গে থাকবেন না। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা এই অঞ্চলের মানুষকে বুঝিয়েছেন মুক্তি ছাড়া পথ নেই।"


তিনি আরো বলেন, "রাষ্ট্র শুধু দালানকোঠা, রাস্তাঘাট দিয়ে উন্নয়ন মাপে। আজকে রাস্তা হলে আপনি আসবেন, কাল আরো দশজন আসবে, পরশু আর্মি-সেনাবাহিনীতে ভরবে। সাজেকে লুসাইদের পোশাকের ছবি না তুলে প্রশ্ন করতে হবে সেই লুসাইরা উচ্ছেদ হয়ে কোথায় গেলো! এছাড়া আদিবাসী দিবসের আগে আমাদের ডিপার্টমেন্টে চিঠি আসে যেন `আদিবাসী` শব্দ ব্যবহার না করি। যে শিা ব্যবস্থায় আদিবাসী ছেলেমেয়েরা পড়ছে সে ব্যবস্থায় বনপ্রকৃতি-ভাষা-সংস্কৃতির উপস্থিতি কতটুকু বলেও প্রশ্ন করেন তিনি।


সম্মেলনের উদ্ধোধক অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী বলেন, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ শুধুমাত্র একটি সংগঠন নয়, এই সংগঠন অধিকারহারা জুম্ম জনগণের আশা প্রত্যাশা। জুম্ম জনগণের অবিসংবাদিত নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে জুম্ম জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। জুম্মদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য ছাত্র সমাজকে অধিকতর সংগ্রামী ও সোচ্চার হতে হবে।”


বিশিষ্ট সাংবাদিক নজরুল কবীর বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির এক রজত হতে চললো। পার্বত্য চুক্তি স্বারের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন। তিনি চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের কথা দিয়েছিলেন কিন্তু কথা রাখেননি। ছাত্র সমাজকে অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে। সরকার একদিকে মানবিকতা দেখাচ্ছে অপরদিকে উন্নয়নের নামে ফাইভ স্টার হোটেল নির্মাণ করতে ম্রোদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করছে। সরকার যদি পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নে তার রাজনৈতিক সদিচ্ছা কাজে লাগাতে চায় তাহলে এখনো সময় আছে।"


বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের মূল সমস্যা সমাধান সরকার এখনো পদপে নেয়নি। লামায় জুম্মদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস জুমকে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে কালপেন করার কারণে জুম্ম জনগণের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শত শত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে কিন্তু গণমাধ্যমে আসছে না। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ জুম্ম জনগণের অধিকার আদায়ে লড়াকু ছাত্র সংগঠন। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বে নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ছাত্র সমাজকে সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।

 

আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনকি সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান বলেন, বাংলাদেশে এখনো ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন-পীড়ন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে জাতিগত নির্মূলীকরণের কাজটি খুব সূচারুরূপে করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। তারই বিরুদ্ধে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ রাজপথে সদা সোচ্চার ছিল এবং আছে। পিসিপি’র এই লড়াইয়ের সাথে সমতলের আদিবাসী ছাত্র-যুবরা সবসময় পাশে ছিল এবং আগামী দিনের লড়াইয়েও পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন এই যুব নেতা। তিনি বাংলাদেশের আপামর গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক ভাবনার মানুষদেরকে পাহাড়ের জুম্ম জনগণের আন্দোলনে সামিল হওয়ার উদাত্ত আহন জানান।

 

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শিার বেহাল দশা। বাংলাদেশে শিাব্যবস্থা  এখনো অসাম্প্রদায়িক হতে পারেনি। অন্যদিকে পাহাড়ে শিা, স্বাস্থ্য সবকিছু গিলে খাওয়া হয়েছে তার উপর পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করে জুম্মদেরকে উচ্ছেদের য়ড়যন্ত্র চলমান। এই পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ না করে পাঁচ তারকা হাসপাতাল নির্মাণের আহ্বান জানান তিনি।

 

এদিকে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি রায়হান উদ্দীন বলেন,  শোষণ-বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমাদের লড়াই। এই লড়াইয়ে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সাথে সর্বদা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট পাশে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

 

পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা বলেন, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যে শক্তি প্রয়োগ করতে হয় সেই শক্তি প্রয়োগ করা হবে। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য যে আন্দোলন ও কর্মসূচি ঘোষনা দেওয়া হবে তা সফল করা হবে। এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র সমাবেশ আরো অধিকতর জ্বলে উঠবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.


উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত