৯৪দিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের শেষে রোববার মধ্যরাত ১২টার পর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। তবে হ্রদে পানি বেশী থাকায় বড় মাছের বদলে চাপিলা, কেসকি মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে।
কাপ্তাই কার্প জাতীয় মাছের সুষ্ঠু প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার ও বিকাশে নিশ্চিতের লক্ষে গত ১ মে মাস থেকে ৩১ জুলাই পর্ষন্ত হ্রদে সব ধরনের মাছ শিকার, বাজারজাতকরণ এবং পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় জেলা প্রশাসন। তবে গেল ২৮ জুলাই কাপ্তাই লেকে মৎস্য আহরণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত সভায় ৩১ জুলাই পর্ষন্ত মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা মেয়াদ শেষ হলেও হ্রদে মাছ শিকারের সামগ্রিক প্রস্তুতি না থাকায় আরো দুদিন বাড়িয়ে শনিবার দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্ষন্ত বৃদ্ধি করা হয়। নিষেধাজ্ঞা আরোপের শেষে রোববার মধ্যরাত ১২টার পর থেকে জেলে উৎসবমূখ পরিবেশে মাছ শিকার শুরু করেছে। সকাল ৬টা থেকে জেলেদের আহরিত মাছ রাঙামাটি শহরের অবতরণঘাট, কাপ্তাই, খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও বাঘাইছড়ি উপজেলা মারিশ্যা অবতরণ ঘাটে আনা হয়। এসব অহরিত মাছ প্যাকেজাত করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাকযোগে নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রথম দিনে কি পরিমাণ মাছ আহরিত হয়েছে তা মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন জানাতে পারেনি।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন হ্রদে পানির উচ্চতা বেশী থাকায় চাপিলা, কেসকি আধিকত্য বেশী রয়েছে। তাই কার্প জাতীয় বড় মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না। তবে হ্রদের পানি কমে গেলে বড় আকারের মাছ জালে ধরা পড়বে।
উল্লেখ্য, গেল বছর এ হ্রদ থেকে ৮হাজার ৯৮৩ মেঃটন মাছ অববতরণ করা হয়েছে। যা ১৮কোটি ৫৯লক্ষ ৯হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন,রাঙামাটিরর ব্যবস্থাপক কমান্ডার মোঃ ফয়েজ আল করিম বলেন, গেল বছরের তুলনায় একমাস আগে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। তবে আরো যদি ১৫ দিন থেকে বেশী সময় পাওয়া যেতো তাহলে মাছের বড় হতো। খুব একটা অসুবিধা হবে না কারণ যদি প্রাকৃতিক বিষয়গুলো অনুকুলে তাহলে গতবারের লক্ষ্যমাত্র থেকে ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরো জানান,মৎস্য অবতরণঘাটগুলো সম্প্রসারণের জন্য সরকারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে। যদিও এ অবতরণঘাট নির্মাণে করতে সময় সাপেক্ষের ব্যাপার।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.