কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৮.৩৫ ফুট এম.এস.এল এর বিপদ সীমার কাছাকাছি হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় বুধবার রাত ৮টা থেকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাটের ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছে। এতে ৯হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে৷
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র জানায়, কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৮.৩৫ ফুট এম.এস.এল এর বিপদ সীমায় পৌছায় বুধবার রাত ৮টা থেকে বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬ টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হয়েছে ৷ এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে৷ এছাড়া বাধের ৫ টি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলমান থাকায় টারবাইনের মধ্য দিয়ে প্রায় ৩২হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন অব্যাহত রয়েছে৷
এর আগে হ্রদের পানি বিপদসীমায় পৌঁছে যাওয়ায় গত ৫ আগস্ট রাত ১২টার পর বাঁধের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়। হ্রদের পানি নিয়ন্ত্রণে আসায় সাত দিন খোলা থাকার পর ১২আগষ্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি জলকপাট।
কাপ্তাই পানি বিদুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মাহামুদ হাসান বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানি ১০৮.৩৫ ফুট এমএসএল যা বিপদ সীমার কাছাকাছি হওয়ায় হ্রদের উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণে জন্য বুধবার রাত ৮থেকে বাঁধের স্পিলওয়ের ১৬টি জলকপাটের ৬ ইঞ্চি পরিমাণ উঠিয়ে পানি নিস্কাশন শুরু করা হয়েছে।
ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাত পরিস্হিতি নিবীড়ভাবে পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে। হ্রদে ইনফ্লো বেশী বা পানির লেভেল অপ্রত্যাশিতভাবে বৃদ্ধি পেলে স্পিলওয়ে গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.