রাঙামাটি শহরে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মোঃ খোরশেদ আলম জনি (৩৮) নামে একজন নিহত হয়েছেন। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনালের ডলফিন কাউন্টারের সামনে ট্রাক ও সিএনজি অটোরিকশায় চাপা পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় চট্টগ্রামে একটি হাসপাতালে সেখানে মারা যান। নিহত খোরশেদ শহরের তবলছড়ি বাজারের ব্যবসায়ী জহির আহমেদ সওদাগরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের স্বজনরা জানায়, রোববার দুপুর সোয়া বারোটার দিকে তবলছড়ি এলাকার নিজ বাসা থেকে মোটর সাইকেলযোগে কাঠালতলীস্থ লেকার্স পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে তার সন্তানকে আনতে যান। এসময় পৌর ট্রাক টার্মিনালের ডলফিন কাউন্টারের এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহি ট্রাক ও অটোরিক্সার মধ্যখানে চাপা পড়ে গুরুত্বর আহত হন খোরশেদ। দূর্ঘটনায় মোটর সাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তার অবস্থা অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত খোরশেদ আলম জনির ঘনিষ্ঠজন ও রাঙামাটি পাবলিক কলেজের প্রভাষক আদনান পাশা সুজা জানান, দুপুরে জনি বনরূপার লেকার্স স্কুলে যাচ্ছিল স্কুল থেকে বাচ্চাকে আনার জন্য। আমি তার কিছুটা পেছনে অন্য মোটরসাইকেলে ছিলাম। ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে প্রথম সিএনজি-অটোরিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে, পরে ট্রাকের সঙ্গেই সংঘর্ষ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রামে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ রাঙামাটিতে আনা হচ্ছে।
রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শওকত আকবর চৌধুরী জানান, খোরশেদ আলম জনি নামে একজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসার পর তার অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার দেওয়ার পর চট্টগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে। তার হাত-পা ও কোমড় ভেঙে গেছে।
রাঙামাটি কতোয়ালি থানার ওসি শাহেদ উদ্দীন বলেন, শহরের পৌর ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় খোরশেদ আলম জনি গুরুত্ব আহত হন। পরে তাকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.