রোববার রাঙামাটিতে বর্নাঢ্য র্যালী, ধর্মীয় আলোচনা ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব বুদ্ধ পূর্নিমা উদযাপিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, দুই হাজার ৫৫৮ বছর আগের দিনে আজকের দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আর্বিভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ(বুদ্ধত্বলাভ) ও মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন বৈশাখী পূর্নিমা দিনে। তাই এ বৈশাখী পুর্ণিমা তথা বুদ্ধ পূর্নিমার দিনটি বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।
উপলক্ষে সকালের দিকে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ ও দায়ক-দায়িকার উদ্যোগে রাঙামাটি সরকারী কলেজ প্রাঙ্গন থেকে কাঠালতলী মৈত্রী বিহার চত্বর পর্ষন্ত বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীর উদ্ধোধন করেন পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান। র্যালীতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ছাড়াও বৌদ্ধ পতাকা হাতে নিয়ে শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেয়। পরে মৈত্রী বিহার দেশনালয়ে ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের সভাপতি শ্রীমৎ সত্যানন্দ মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে এতে ধর্ম দেশনা দেন মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ পূর্নজ্যোতি মহাস্থবির, ত্রিপিটক বিশারদ শ্রীমৎ পঞাদীপা মহাথোরা ও রত্নজ্যোতি ভিক্ষু। এর আগে পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ কার্যালয় চত্বর থেকে রাঙামাটি রাজবন বিহার প্রাঙ্গন পর্ষন্ত বৌদ্ধ ধাতুসহকারে একটি বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীর উদ্ধোধন করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাজবন উপাসক উপাসিকা পরিষদের সধারণ সম্পাদক প্রতুল দেওয়ান ও বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিজয়গিরি চাকমা প্রমুখ। পরে বন বিহার মাঠে ধর্মীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ধর্ম দেশনা দেন রাজবন বিহারের ভিক্ষুসংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালংকার মহাস্থবির। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল পঞ্চশীল গ্রহণ, সংঘদান, অষ্টপরিস্কার দান অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন এবং সন্ধ্যায় আকাশ প্রদীপ উড়ানো হয়।
অপরদিকে, শহরের রাঙ্গাপানিস্থ লুম্বিনী ও সাধনাপুর বন বিহার শাখার দায়ক-দায়িকাদের উদ্যোগে একটি বর্নাঢ্য র্যালী রাঙাপানি এলাকা থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ ও আসামবস্তি হয়ে লুম্বিনী বন বিহার শাখায় গিয়ে শেষ হয়। র্যালীতে কয়েক শত ভিক্ষু ও শ্রমণ এবং দায়ক-দায়িকারা অংশ গ্রহন করেন।
এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের ধর্ম দেশনায় বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনার পাশাপাশি গৌতম বুদ্ধের অমৃতবাণী মেনে চলতে সত্য ও ন্যায় পথে চলার জন্য হিতোপদেশ প্রদান করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.