বৌদ্ধদের ধর্মীয় উৎসব কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠানে রাঙামাটি জেলায় শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘœভাবে সম্পন্ন করতে সর্বাত্মক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। উৎসব চলাকালীন সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থা যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি রিজিয়ন সদর দপ্তরে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের প্রধান উৎসব কঠিন চীবন দান অনুষ্ঠান উপলক্ষে আইন-শৃংখলা বিষয়ক সমন্বয় সভায় রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক এ কথা জানান।
সভায় রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার সকলের সহযোগিতা ও উৎসবকালীন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাঙামাটিতে বর্তমানে সকল জনগোষ্ঠীর মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রয়েছে। যা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তিনি আরো বলেন, কঠিন চীবর দান উৎসবকে ঘিরে রাঙামাটিতে ইতোমধ্যেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাঙামাটি রিজিয়নের পক্ষ থেকে টহল ও নজরদারি কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই সম্প্রীতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভায় রাজবন বিহার ও পার্বত্য ভিক্ষু সংঘের প্রতিনিধির নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রতিনিধিরা বিহার কেন্দ্রিক বিভিন্ন সমস্যা ও করণীয় বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন। সভায় বিহারের প্রবেশপথে নিরাপত্তা চেকপোস্ট স্থাপন, স্বেচ্ছাসেবক দল নিয়োজিত রাখা, সিসিটিভির মাধ্যমে নজরদারি এবং প্রবেশ পথে দিক নির্দেশনামূলক প্যানাফ্লেক্স টানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখ্য, বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুরা তিন মাস বর্ষাবাস শেষে প্রবারনা পূর্নিমা পালন করে। এর পর বিভিন্ন বৌদ্ধ প্রধান ধর্মীয় উৎসব কঠিন দান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা মাস জুড়ে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.