শিগগিরই কাপ্তাই হ্রদ খননে উদ্যোগের পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের নাব্যতা কমার পাশাপাশি হ্রদে দুষন ঘটছে। রাঙামাটির শহর যেহেতু বাড়ছে সেহেতু দূষনের মাত্রাও বাড়ছে। বিশেষ করে শহরের বর্জ্য ও পয়ঃনিস্কাশন কাপ্তাই হ্রদের পানিতে পড়ছে। ফলে হ্রদে মাছেরও ঝুঁকি বাড়ছে।
সোমবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কাপ্তাই হ্রদের সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ফেব্রুয়ারিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা যে কথা দিয়েছেন, নির্বাচন সেভাবেই অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই প্রক্রিয়া কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। তফসিল ঘোষণার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনেই নির্ধারণ করবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত আইনিভাবে বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকার যে যে কাজ গুলো করার কথা সেগুলো করে যাবে এবং ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এই বিষয় গুলো চুড়ান্ত হবে।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় সন্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যর মধ্য উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী,রাঙামাটির বিএফডিসি ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো: ফয়েজ আল করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোবারক হোসেন, মো. রুহুল আমিন, সিভিল সার্জন ডাঃ নুয়েন খীসা, জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
সভায় জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন বিএফডিসি ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মধ্য দ্বন্ধের কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা বলেন, কাপ্তাই হ্রদের তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। সারা বছর পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যায় না।তাই কাপ্তাই হ্রদ খনন করা দরকার অত্যন্ত জরুরী। মাছ ধরার নিষিদ্ধ মৌসুমে জেলেদের দেওয়া ২০ কেজি চালের বরাদ্দ বাড়িয়ে ৪০ কেজি করারও দাবি জানান জেলেরা।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.